প্রখ্যাত আলেমগণের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br /><div style="text-align: left;"><b><u><span style="color: red;"><i>মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রজনীতে সংঘটিত অলৌকিক কাজ সমূহ :</i></span></u></b></div><br /><br />◾ সৃষ্টির সেরা শুভ রজনী যে রজনীতে রত্নাগর্ভা মা আমিনা (রাঃ) ধারন করলেন রাসূলাল্লাহ (ﷺ) এর নূর মুবারককে পবিত্র নূরানী গর্ভে :<br />এ রজনীতে শয়তানদের বনী আদমকে বিভ্রান্ত করার সকল কৌশল বন্ধ হয়ে গেল।<br />ফেরশতাকুল শয়তানের সিংহাসন উল্টিয়ে সমুদ্রে ফেলে দিল। জৈনক ফেরেশতা এটাকে সমুদ্রে চল্লিশ দিন পর্যন্ত ডুবাতে থাকল।<br />ফেরশতাকুল শয়তানকে ভীষন প্রহার করল, ফলে সে আবূ কোবাইস নামক পাহাড়ে আত্নগোপন করতে বাধ্য হলো। শয়তান সেখানে ভীষন চিত্‍কার করতে থাকল। চিৎকার শুনে তার দল লশকর সকলে এসে উপস্থিত হলো। তারা বলল, হে দলপতি! আপনি ক্রন্দন করছেন কেন?সে বলল মহাবিপদ উপস্থিত।অত্র রাত্রিতে নূরে মুহাম্মদী (ﷺ) মাতৃগর্ভে স্থিতি লাভ করেছে।<br />তার দরুনই দুনিয়া ও আখিরাতের ইজ্জত,<br />সে নগ্ন তলোয়ার নিয়ে আবির্ভূত হবে।<br />ফলে আমার বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে পড়বে,<br />সে পূর্ববতী ধর্মগুলো রহিত (মূলোচ্ছেদ) করে দিবে; মূর্তিসমূহ ধ্বংস করে দিবে; ব্যভিচার, শারাবখোরী ও জুয়া হারাম করে দিবে, জৌতিষ্কের বিদ্যা বিলুপ্ত করবে; হক কথা বলবে; ইনসাফে শ্রীবৃদ্ধী সাধন করবে;<br />আসমানের তারকামালার ন্যায় মসজিদসমূহ মিটমিট করে জ্বলতে থাকবে; প্রতি স্থানে আল্লাহর নাম নিবে; উক্ত উত্তম কাজগুলো তার জামায়াতকে আকড়িয়ে থাকবে, এগুলোতে আমার কোন ফন্দী চলবেনা।<br /><br />[সূত্র- রাওজাতুল আহবাব]<br /><br /><br /><b><u><i><span style="color: red;">মিলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপনের ফজিলত :</span></i></u></b><br /><br /><br /><br />◾ ইমাম হযরত হাসান বছরী (রহঃ)<br />[বিশিষ্ট তাবিয়ী, যিনি শতাধিক সাহাবায়ে কিরাম (রা) গণের সাক্ষাত লাভ করেছিলেন] তিনি বলেন-<br /><br />قال الحسن البصرى رحمة الله عليه وَدِدْتُّ لَوْ كَانَ لِىْ مِثْلُ جَبَلِ اُحُدٍ ذَهْبًا فَاَنْفَقْتُهٗ عَلٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.<br /><br />অর্থ: ‘আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো তাহলে তা পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষে ব্যয় করতাম।’সুবহানাল্লাহ!<br />[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৮ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ ইমাম হযরত ইমাম শাফিয়ী (রহ) বলেন-<br /><br />قَالَ اَلاِمَامُ الشَّافِعِىُّ رَحِمَهُ اللهُ مَنْ جَمَعَ لِمَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ اِخْوَانًا وَهَيَّاَ طَعَامًا وَاَخْلٰى مَكَانًا وَعَمَلَ اِحْسَانًا وَصَارَ سَبَبًا لِقِرَائَتِهٖ بَعَثَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِيْنَ وَيَكُوْنُ فِىْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ.<br /><br />অর্থ: ‘যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন উপলক্ষে :<br />১. লোকজন একত্রিত করলো,<br />২. খানাপিনার ব্যবস্থা করলো,<br />৩. জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং<br />৪. এ জন্য উত্তমভাবে তথা সুন্নাহ ভিত্তিক আমল করলো,<br />তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ ছলিহীনগণের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতে নায়ীমে।’ সুবহানাল্লাহ!<br />[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ১০ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ হযরত জুনাইদ বাগদাদী (রহ) বলেন-<br /><br />قال جنيد البغدادى رحمة الله عليه مَنْ حَضَرَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَظَّمَ قَدَرَهٗ فَقَدْ فَازَ بِالاِيْمَانِ.<br /><br />অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) এর আয়োজনে উপস্থিত হবে এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করবে সে বেহেশ্তী হবে।” সুবহানাল্লাহ!<br />[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৮ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম মারূফ কারখী (রহ) বলেন-<br /><br />قال المعروف الكرخى رحمة الله عليه مَنْ هَيَّأَ طَعَامًا لاَجْلِ قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَمَعَ اِخْوَانًا وَاَوْقَدَ سِرَاجًا وَلبِسَ جَدِيْدًا وَتَبَخَّرَ وَتَعَطَّرَ تَعْظِيْمًا لِمَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَشَرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الْفِرْقَةِ الاُوْلٰى مِنَ النَّبِيّنَ وَكَانَ فِىْ اَعْلٰى عِلِّيِّيْن.<br /><br />অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র ঈদে মীলাদুননবী (ﷺ) উপলক্ষে খাদ্যের আয়োজন করে, অতঃপর লোকজনকে জমা করে, মজলিসে আলোর ব্যবস্থা করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নতুন পোশাক পরিধান করে, সুঘ্রাণ ও সুগন্ধি ব্যবহার করে, আল্লাহ পাক তাকে নবী আলাইহিমুস সালামগণের প্রথম কাতারে হাশর করাবেন এবং সে জান্নাতের সুউচ্চ মাক্বামে অধিষ্ঠিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ্!<br />[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৮ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি (রহ) বলেন-<br /><br />مَا مِنْ شَخْصٍ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مِلْحٍ اَوْ بُرٍّ اَوْشَىء اٰخَرَ مِنَ الْمَأكُوْلاتِ اِلا ظَهَرَتْ فِيْهِ الْبَركَةُ فِىْ كُلِّ شَىء. وَصَلَ اِِلَيْهِ مِنْ ذٰلِكَ الْمَأكُوْلِ فَاِنَّهٗ يَضْطَرِبُ وَلا يَسْتَقِرُّ حَتى يَغْفِرَ اللهُ لاٰكِلِهٖ.<br />অর্থ: যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদুন নবী (ﷺ) উদযাপন করে লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্য দ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে এই খাদ্য দ্রব্যে অবশ্যই বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেন, তাতে বরকত হবেই। উক্ত খাদ্য-দ্রব্য মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপনকারীর জন্য আল্লাহ পাকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হয় না।” সুবহানাল্লাহ!<br />[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৯ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ হযরত ইমাম সাররী সাকতী (রহ) বলেন-<br /><br />قال السر سقتى رحمة الله عليه مَنْ قَصَدَ مَوْضعًا يُقْرَأُ فِيْهِ مَوْلِِدُ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ قَصَدَ رَوْضَةً مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ لاَنَّهٗ مَا قَصَدَ ذٰلِكَ الْمَوْضعَ اِلا لِمُحَبَّةِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.<br /><br />অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করলো সে যেন নিজের জন্য জান্নাতে একটি বাগান নির্দিষ্ট করলো। কেননা সে তা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক (ﷺ) উনার মুহব্বতের জন্যই করেছে। আর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসবে সে আমার সাথেই জান্নাতে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ্!<br />[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ১০ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ ইমাম ইবন কাসির (রহঃ) তার বিখ্যাত সীরাত গ্রন্থে লিখেন :<br /><br />ইবলিশ শয়তান জীবনে ঠিক এই সময়টাতেই খুব বেশি কেঁদেছে বা আফসোস করেছে।<br />أن إبليس رن أربع رنات حين لعن وحين أهبط وحين ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم وحين أنزلت الفاتحة<br />১. আল্লাহ যখন তাকে অভিশপ্ত হিসেবে ঘোষণা দিলেন,<br />২. যখন তাকে বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত করা হল,<br />৩. নূর নবীজীর (ﷺ) দুনিয়াতে আগমনের সময় এবং<br />৪. সূরা ফাতিহা নাযিল হবার সময়<br />[সূত্রঃ ইবন কাসির, আল আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা - ১৬৬]<br /><br />◾ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রহ) তিনি বলেন-<br /><br />قَالَ سُلْطَانُ الْعَارِفِيْنَ الْاِمَامُ جَلالُ الدِّيْنِ السُّيُوْطِىُّ قَدَّسَ اللهُ سِرَّهٗ وَنَوَّرَ ضَرِيْحَهُ فِىْ كِتَابِهِ الُمُسَمّٰى الْوَسَائِلِ فِىْ شَرْحِ الشَّمَائِلِ" مَا مِنْ بَيْتٍ اَوْ مَسْجِدٍ اَوْ مَحَلَّةٍ قُرِئَ فِيْهِ مَوْلِدُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلا حَفَّتِ الْمَلٰئِكَةُ ذٰلِكَ الْبَيْتَ اَوِ الْمَسْجِدَ اَوِ الْمَحَلًّةَ صَلَّتِ الْمَلٰئِكَةُ عَلٰى اَهْلِ ذٰلِكَ الْمَكَانِ وَعَمَّهُمُ اللهُ تَعَالٰى بِالرَّحْمَةِ وَالرِّضْوَانِ واَمَّا الْمُطَوَقُّوْنَ بِالنُّوْرِ يَعْنِىْ جِبْرَائيلَ وَمِيْكَائِيْلَ وَاِسْرَافِيْلَ وَعَزْرَائِيْلَ عَلَيْهِمُ السَّلامُ فَاِنَّهُمْ يُصَلُّوْنَ عَلٰى مَنْ كَانَ سَبَبًا لِقَرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا مَاتَ هَوَّنَ اللهُ عَلَيْهِ جَوَابَ مُنْكِرٍ وَنَكِيْرٍ وَيَكُوْنُ فِىْ مَقْعَدِ صِدْقٍ عِنْدَ مَلِيْكٍ مُّقْتَدِرٍ.<br /><br />অর্থ: “যে কোন ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় পবিত্র মীলাদুন নবী (ﷺ) উদযাপন করা হয় সেখানে অবশ্যই আল্লাহ পাকের ফেরেশতাগণ বেষ্টন করে নেন। আর তারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন। আর আল্লাহ পাক তাদেরকে [উক্ত লোকসকলকে] স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান ৪ ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরায়ীল, মীকায়ীল, ইসরাফীল ও আযরায়ীল আলাইহিমুস সালামগণ মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপনকারীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন। যখন তারা [উদযাপনকারীগণ] ইনতিকাল করেন তখন আল্লাহ পাক তাদের জন্য মুনকার-নাকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর তাদের অবস্থান হয় আল্লাহ পাকের সন্নিধ্যে সিদ্দিকীনদের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ্!<br />[ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল, আন নিয়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম ১০ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ ইমাম কসতলানী (রহ) আরও বলেন: ”যাদের অন্তর রোগ-ব্যাধি দ্বারা পূর্ণ, তাদের কষ্ট লাঘবের জন্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মীলাদের মাস (রবিউল আউয়ালের) প্রতিটি রাতকে যাঁরা উদযাপন করেন তাঁদের প্রতি আল্লাহতা’লা দয়াপরবশ হোন!”<br />[আল-মাওয়া আল-লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড]<br /><br />◾ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (রহ)<br />[মুহাদ্দিস ও হানাফী ফেকাহবিদ] তিনি বলেন:<br /><br />আল্লাহতা’লা এরশাদ ফরমান, ‘নিশ্চয় তোমাদের কাছে তাশরীফ এনেছেন  তোমাদের মধ্য থেকে ওই রাসূল (সূরা তাওবা, ১২৮ আয়াত)<br /><br /><br /><br /><b><i><u><span style="color: red;">মিলাদুন্নবীর (ﷺ) সম্মিলিতরূপ দানকারী বাদশাহ মুজাফফর (রহ) কেমন ছিলেন? </span></u></i></b><br /><br /><br /><br />◾ ইমাম ইবনে কাসীর (রহ) লিখেন :<br /><br />أحد الاجواد والسادات الكبراء والملوك الامجاد له آثار حسنة وقد عمر الجامع المظفري بسفح قاسيون وكان قدهم بسياقه الماء إليه من ماء بذيرة فمنعه المعظم من ذلك واعتل بأنه قد يمر على مقابر المسلمين بالسفوح وكان يعمل المولد الشريف في ربيع الاول ويحتفل به احتفالا هائلا وكان مع ذلك شهما شجاعا فاتكا بطلا عاقلا عالما عادلا رحمه الله وأكرم مثواه وقد صنف الشيخ أبو الخطاب ابن دحية له مجلدا في المولد النبوي سماه التنوير في مولد البشير النذير فأجازه على ذلك بألف دينار وقد طالت مدته في الملك في زمان الدولة الصلاحية وقد كان محاصر عكا وإلى هذه السنة محمودالسيرة والسريرة قال السبط حكى بعض من حضر سماط المظفر في بعض الموالد كان يمد في ذلك السماط خمسة آلاف راس مشوى وعشرة آلاف دجاجة ومائة ألف زبدية وثلاثين ألف صحن حلوى<br />অর্থঃ “ বাদশাহ মুযাফফর (রহ) ছিলেন একজন উদার/সহৃদয় ও প্রতাপশালী এবং মহিমান্বিত শাসক, যাঁর সকল কাজ ছিল অতি উত্তম। তিনি কাসিইউন-এর কাছে জামেয়া আল-মুযাফফরী নির্মাণ করেন।<br />(প্রতি) রবিউল আউয়াল মাসে তিনি জাঁকজমকের সাথে মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন করতেন। উপরন্তু, তিনি ছিলেন দয়ালু, সাহসী, জ্ঞানী, বিদ্বান ও ন্যায়পরায়ণ শাসক - রাহিমুহুল্লাহ ওয়া একরাম - শায়খ আবুল খাত্তাব (রহ) সুলতানের জন্যে মওলিদুন্ নববী (ﷺ) সম্পর্কে একখানি বই লিখেন এবং নাম দেন ‘আত্ তানভির ফী মওলিদ আল-বাশির আন্ নাযীর’। এ কাজের পুরস্কারস্বরূপ সুলতান তাঁকে ১০০০ দিনার দান করেন। সালাহিয়া আমল পর্যন্ত তাঁর শাসন স্থায়ী হয় এবং তিনি ’আকা’ জয় করেন। তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র থেকে যান।<br />”আস্ সাবত্ এক ব্যক্তির কথা উদ্ধৃত করেন যিনি সুলতানের আয়োজিত মওলিদ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন; ওই ব্যক্তি বলেন: ‘অনুষ্ঠানে সুলতান ভালভাবে রান্নাকৃত ৫০০০ ছাগল, ১০,০০০ মোরগ, ১ লক্ষ বৌল-ভর্তি দুধ এবং ৩০,০০০ ট্রে মিষ্টির আয়োজন করতেন’।” 1<br /><br />◾ হাফিজে হাদীস ইমাম যাহাবী (রহ) উনার কিতাবে লিখেন<br />ﻛﺎﻥ ﻣﺘﻮﺍﺿﻌﺎ ﺧﻴﺮﺍ ﺳﻨﻴﺎ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ<br />ﻭﺍﻟﻤﺤﺪﺛﻴﻦ<br /><br />অর্থ: বাদশা মুজাফফরুদ্দীন (রহ) তিনি নম্র, ভদ্র ও উত্তম স্বভাবের অধিকারী ছিলেন।<br />তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি ফক্বীহ ও মুহাদ্দিসগনকে অত্যন্ত ভালবাসতেন।"<br />[সিয়ারু আলামীন নবালা, ২২ তম খন্ড, ৩৩৬ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ এ মহান বাদশার প্রশংসায় উনার সমকালীন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আল্লামা ক্বাযী ইবনে খল্লিক্বান (রহ) উনার কিতাবে লিখেন-<br /><br />ﻭﻛﺮﻡ ﺍﻻﺧﻼﻕ ﻛﺜﻴﺮ ﺍﻟﺘﻮﺍﺿﻊ ﺣﺴﻦ<br />ﺍﻟﻌﻘﻴﺪﺓ ﺳﺎﻟﻢ ﺍﻟﻄﺎﻗﺔ ﺷﺪﻳﺪ ﺍﻟﻤﻴﻞ ﺍﻟﻲ<br />ﺍﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭ ﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻻ ﻳﻨﻔﻖ ﻋﻨﺪ ﻣﻦ<br />ﺍﺭﺑﺎﺏ ﺍﻟﻌﻠﻮﻡ ﺳﻮﻱ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﻭﺍﻟﻤﺤﺪﺛﻴﻦ<br />ﻭﻣﻦ ﻋﺪﺍﻫﻤﺎ ﻻ ﻳﻌﻄﻴﻪ ﺷﻴﺎ ﺍﻻ ﺗﻜﻠﻔﺎ<br /><br />অর্থ: বাদশা হযরত মুজাফফরুদ্দিন ইবনে যাইনুদ্দীন (রহ), তিনি প্রসংসনীয় চরিত্রের অধিকারী, অত্যধিক বিনয়ী ছিলেন। উনার আক্বীদা ও বিশ্বাস ছিল সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ। তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। তিনি আলিম উলামা, ফক্বীহ ও মুহাদ্দিসগন উনাদের পিছনে ব্যয় করা ব্যতীত সকল ক্ষেত্রে ব্যয় করার ব্যাপারে মিতব্যয়ী ছিলেন।"<br />[ইমাম ইবনে খল্লিক্বান (রহ) : ওয়াফইয়াতুল আ'ইয়ান, ৪র্থ খন্ড, ১১৯ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ শায়খ মোহাম্মদ ইলিয়াশ (রহঃ) (ওফাত: ১২৯৯ হি) [মালেকী মযহাবের আলেম] তার কিতাবে বলেন, ঈদে মীলাদুন্নবী (ﷺ) আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বপ্রথম পালন করা হয় হিজরী ৬ষ্ঠ শতকে। এটি প্রবর্তন করেন ইরবিলের ন্যায়পরায়ণ সুলতান মোযাফফর শাহ (রহ)। ওই সব অনুষ্ঠানে তিনি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন আলেম-উলেমা ও মহান সূফীবৃন্দসহ সকলকে আমন্ত্রণ জানাতেন। সে মেজবান যা খাওয়ানো হতো তাতে অন্তর্ভুক্ত থাকতো ৫০০০ দুম্বার রোস্ট, ১০০০০ মোরগ ও ৩০০০০ প্লেট মিষ্টি। সেই সময় থেকে অদ্যাবধি মুসলমান সমাজ রবিউল আউয়াল মাসে মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন করে আসছেন। এর আয়োজনে তাঁরা মানুষকে খাওয়ানো, গরিব-দুঃস্থদের মাঝে দান-সদকাহ এবং অন্যান্য প্রশংসনীয় (মোস্তাহাব) আমল পালন করেন। এই আমল (ইসলামী আচার) তাঁদেরকে বিগত বছরগুলোতে মহা রহমত-বরকত অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।<br />[শায়খ মোহাম্মদ ‘ইলিয়াস : তাঁর ’আল-কওল আল-মুনজিয়ী’]<br /><br /><br /><br /><b><i><u><span style="color: red;">তৎকালীন মক্কা মদীনায় কি মিলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপিত হত?</span></u></i></b><br /><br /><br /><br />◾ প্রখ্যাত মুহাদ্দীস ইবন যাওজী (রহঃ) বলেন,<br />“সর্বদা মক্কা ও মদিনাবাসী, মিসর, ইয়ামেন, সিরিয়াবাসী এবং আরবের পূর্ব-পশ্চিমের সকলেই মীলাদুন্নাবী (ﷺ) অনুষ্ঠান করে থাকেন। রবিউল আউয়াল মাসের নব চন্দ্রের আগমনে আনন্দ উৎসব করেন এবং তারা সকলেই এ সমস্ত অনুষ্ঠানাদি দ্বারা মহান পুরষ্কার ও সফলতা লাভ করেন”<br />[ইমাম যাওজী : স্বীয় কিতাব বয়ানুল মীলাদুন্নাবী, পৃঃ ৫৮]<br /><br />◾ ইমাম মুফাসসির আল নাক্কাস (২৬৬-৩৫১ হি) বলেন-<br />রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে বরকতময় ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন সেটা হল এমন জায়গা যেখানে সোমবার দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। (যেহেতু সোমবার মিলাদুন্নবী ﷺ)<br />[ইমাম মুফাসসির আল নাক্কাস : শিফা আল-ঘারাম ১:১৯৯]<br /><br />◾ ইমাম আল-আযকারী (রহ) [৩য় শতাব্দীর ইমাম] মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে বরকতময় ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন, (অধিক তাবাররুক) অনুগ্রহ পাওয়ার উদ্দেশ্যে সে ঘরে নামাজ পড়াকে আলেমেদ্বীনগণ মুস্তাহাব বলেছেন।<br />[ইমাম আল-আযকারী : আখবার মক্কা ২ : ১৬০]<br /><br />◾ ইমাম ইবনে জুবাইর (রহ) [৫৪০-৬৪০ হি]<br />তার নিজের কিতাবে লিখেন-<br />প্রতি বছর মক্কায় মুসলমানগণ মাওলিদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন উপলক্ষে রবিউল আওয়াল মাসের প্রত্যেক সোমবার, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্মস্থানে সবাই একত্রিত হন।<br />[ইবনে জুবাইর : কিতাবুর রিহাল : ১১৪-১১৫]<br /><br />◾ ৭ম শতাব্দীর বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আবু আল আব্বাস আল আযাফী (রহ) এবং তার পুত্র আবুল কাশিম আল আযাফী (রহ) তাদের বিখ্যাত [আদ-দুরুরুল মুনাজ্জাম] কিতাবে লিখেন,<br />ধার্মিক ইতিহাসবিদ ও বিখ্যাত পর্যটকগণ এই তথ্য সঠিকভাবে জানিয়েছেন যে, মক্কায় মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর দিন কোন কাজ নেয়া হত না (সকল কাজ বন্ধ করে) লোকজন শুধুমাত্র রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর পবিত্র জন্মস্থান জিয়ারত করতে ব্যস্ত থাকত।<br />উক্ত দিন কাবা শরীফের দরজা খুলে দেয়া হত এবং সবাই সেখানে একত্রিত হত।<br />[আবু আব্বাস আল-আযাফী : আদ-দুরুরুল মুনাজ্জাম]<br /><br />◾ ৮ম শতাব্দীর বিখ্যাত পর্যটক ও ইতিহাসবিদ ইবনে বতুতা (রহ) তার কিতাবে বর্ননা করেন,<br /><br />বনু শায়বা গোত্রের প্রধান এবং কাবা শরীফের দরজার দায়িত্বরত প্রহরীর মাধ্যমে প্রতি শুক্রবার, জুমুয়ার নামাজের শেষে এবং রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর দিন কাবা শরীফের দরজা খুলে দেয়া হত।<br />মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর দিন শাফেয়ী মাযহাবের কাজী (মক্কার সুপ্রিম বিচারক) নাজমুদ্দিন মুহাম্মদ ইবনে আল ইমাম মহিউদ্দীন আত তাবারী (রহ) তিনি আওলাদে রাসুল (ﷺ) এবং মক্কার অন্যান্য সাধারণ জনগণ এর মধ্যে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করতেন।<br />[ইতিহাস বীদ ইবনে বতুতা : তার রিহলায় : খন্ড ১ : ৩০৯ এবং ৩৪৭ পৃ]<br /><br />◾ ইমাম শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দীসে দেহেলভী (রহ) নিজের সেরা অভিজ্ঞতাগুলোর একটি বর্ণনা করেন:<br /><br />মক্কা মোয়াযযমায় এক মীলাদ মাহফিলে আমি একবার অংশগ্রহণ করি। তাতে মানুষেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি দরুদ সালাম প্রেরণ করছিলেন এবং তাঁর বেলাদতের সময় (আগে ও পরে) যে সব অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল, আর তাঁর নব্যুয়তপ্রাপ্তির আগে যে সব ঘটনা প্রত্যক্ষ করা হয়েছিল (যেমন - মা আমেনা হতে নূর বিচ্ছুরণ ও তাঁর দ্বারা নূর দর্শন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাবা আব্দুল্লাহর কপালে নূর দেখে তাঁকে এক মহিলার বিয়ের প্রস্তাব দেয়া ইত্যাদি), সে সম্পর্কে তাঁরা উল্লেখ করছিলেন। হঠাৎ আমি দেখলাম এ রকম এক দল মানুষকে নূর ঘিরে রেখেছে; আমি দাবি করছি না যে আমার চর্মচক্ষে এটি আমি দেখেছি; এও দাবি করছি না যে এটি রূহানীভাবে (দিব্যদৃষ্টি মারফত) দেখেছি, আর আল্লাহতা’লা-ই এই দুইয়ের ব্যাপারে সবচেয়ে ভাল জানেন। তবে ধ্যানের মাধ্যমে এই সব আনওয়ার (জ্যোতিসমূহ) সম্পর্কে আমার মাঝে এক বাস্তবতার উদয় হয়েছে যে এগুলো সে সকল ফেরেশতার আনওয়ার যাঁরা ওই ধরনের (মীলাদের) মজলিশে অংশগ্রহণ করেন। আমি এর পাশাপাশি আল্লাহর রহমত নাযেল হতেও দেখেছি।<br />[ফুইয়ূয আল-হারামাইন, ৮০-৮১ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ মুফতি এনায়েত আহমদ (রহঃ) বলেন-<br />“মকা ও মদীনা শারীফ এবং অধিকাংশ ইসলামি রাষ্ট্রে এ কথা প্রচলিত আছে যেপবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে মীলাদুন্নাবী (ﷺ) এর মাহফিল অনুষ্ঠিত করে মুসলমানদেরকে একত্রিত করে মিলাদ মাহফিল শারীফ পাঠ করা হত। ইহা একটি বিরাট বরকতময় কাজ এবং রাসূল (ﷺ) এর প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধির একটি মাধ্যম। রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মদীনা ঘুনাওয়ারায় মসজিদে নববীতে এবং মক্কা শারীফে রাসূল (ﷺ) এর জন্মস্থানে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হত।”<br />তিনি উক্ত কিতাবে আরও বর্ণনা করেন<br />“সুতরাং মুসলমানদের রাসূল (ﷺ) এর মহব্বত ভালবাসায় এ মাহফিল করা ও তাতে শরীক হওয়া উচিত।”<br />[তাওয়ারিখে হাবীবে ইলাহ, পৃঃ ১২]<br /><br /><br /><br /><b><i><u><span style="color: red;">ইমামগণের মতে মিলাদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষে যেসব আমল উত্তম :</span></u></i></b><br /><br /><br /><br />◾ শায়খুল ইসলাম ও ৩ লক্ষ হাদিসের হাফেজ ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী (রহ) বলেন-<br /><br />এমতাবস্থায় তিনি তাদেরকে [এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা উত্তর দেন, ‘এই দিনে আল্লাহতা’লা ফেরাউনকে পানিতে ডুবিয়ে মূসা (আ)-কে রক্ষা করেন। তাই আমরা মহান প্রভুর দরবারে এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে রোযা রেখে থাকি।’ এই ঘটনা পরিস্ফুট করে যে আল্লাহতা’লার রহমত অবতরণের কিংবা বালা-মসীবত দূর হওয়ার কোনো বিশেষ দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, সেই উদ্দেশ্যে বার্ষিকী হিসেবে তা উদযাপনের সময় নামায, রোযা, দান-সদকাহ বা কুরআন তেলাওয়াতের মতো বিভিন্ন এবাদত-বন্দেগী পালন করা শরীয়তে জায়েয। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মীলাদের (ধরণীতে শুভাগমন দিবসের) চেয়ে আল্লাহর বড় রহমত কী-ই বা হতে পারে? এরই আলোকে প্রত্যেকের উচিত হযরত মূসা (আ) ও ১০ই মহররমের ঘটনার (দালিলিক ভিত্তির) সাথে সঙ্গতি রেখে মীলাদুন্নবী (ﷺ) দিবস উদযাপন করা; তবে যাঁরা এটি বিবেচনায় নেন না, তাঁরা (রবিউল আউয়াল) মাসের যে কোনো দিন তা উদযাপনে আপত্তি করেন না; অপর দিকে কেউ কেউ বছরের যে কোনো সময় নির্দিষ্ট ক করা ব্যতীত সারা বছর উদযাপনকে কোনো প্রকার ব্যতিক্রম ছাড়াই বৈধ জেনেছেন।<br />[হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ’, ৬৪ পৃষ্ঠা]।<br /><br />◾ তিনি আরো বলেন :<br /><br />”আমি মওলিদের বৈধতার দলিল সুন্নাহ’র আরেকটি উৎস থেকে পেয়েছি (আশুরার হাদীস থেকে বের করা সিদ্ধান্তের বাইরে)। এই হাদীস ইমাম বায়হাকী (রহ) হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন: ‘হুযূর পাক (ﷺ) নবুয়্যত প্রাপ্তির পর নিজের নামে আকিকাহ করেন; অথচ তাঁর দাদা আবদুল মোত্তালিব তাঁরই বেলাদতের সপ্তম দিবসে তাঁর নামে আকিকাহ করেছিলেন, আর আকিকাহ দু’বার করা যায় না। অতএব, রাসূলে খোদা (ﷺ) বিশ্বজগতে আল্লাহর রহমত হিসেবে প্রেরিত হওয়ায় মহান প্রভুর দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যে এটি করেছিলেন, তাঁর উম্মতকে সম্মানিত করার জন্যেও, যেমনিভাবে তিনি নিজের ওসীলা দিয়ে দোয়া করতেন। তাই আমাদের জন্যেও এটি করা উত্তম হবে যে আমরা মীলাদুন্নবী (ﷺ) দিবসে কৃতজ্ঞতাসূচক খুশি প্রকাশার্থে আমাদের দ্বীনী ভাইদের সাথে সমবেত হই, মানুষদেরকে খাবার পরিবেশন করি এবং অন্যান্য সওয়াবদায়ক আমল পালন করি।’ এই হাদীস পূর্বোক্ত মহানবী (ﷺ) -এর দ্বারা মীলাদ ও নবুয়্যত-প্রাপ্তির দিবস পালনার্থে সোমবার রোযা রাখার হাদীসকে সমর্থন দেয়।”<br />[হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ, ৬৪-৬৫ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী (রহ) বলেন,<br />ঈদে মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপনে যে সব নেক বা পুণ্যময় কাজ করা যায় তাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে :<br />১. মহানবী (ﷺ)-এর আগমনের প্রতি (শোকরিয়াসূচক) খুশি উদযাপন ও আনুগত্য প্রদর্শন;<br />২. পুণ্যবান ও গরিব মানুষকে সমবেত করে তাঁদেরকে খাওয়ানো;<br />৩. নেক আমল পালন ও মন্দ আমল বর্জনে উদ্বুদ্ধ করে এমন ইসলামী নাশিদ/না’ত/সেমা/কাওয়ালী/পদ্য আবৃত্তি বা পরিবেশন;<br />৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রশংসাসূচক (এ ধরনের) শে’র-পদ্য-সেমা আবৃত্তিকে সে সকল শ্রেষ্ঠ মাধ্যমের অন্তর্গত বলে বিবেচনা করা হয় যা দ্বারা কারো অন্তর তাঁর প্রতি মহব্বতের দিকে আকৃষ্ট হয়।<br />[হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ, ৬৪-৬৫ পৃষ্ঠা]<br /><br />◾ হাফেয ইমাম সাখাভী (ওফাত: ৯০২ হিজরী) বলেন,<br />তাঁর ’ফাতাওয়া’ গ্রন্থে বলেন, মওলিদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন হিজরী ৩য় শতকের পরে আরম্ভ হয়। অতঃপর মুসলিম উম্মাহ সকল শহর ও নগরে দান-সদকা,<br />মহানবী (ﷺ) এর মীলাদ বর্ণনার মতো নানা সওয়াবপূর্ণ বরকতময় আমল পালন করে এর উদযাপন করে আসছেন।<br /><br />◾ হাফিজুল হাদিস ইমাম জালালউদ্দীন সৈয়ুতী (রহঃ) (বিসাল: ৯১১ হিজরী) বলেন,<br />১. মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপনের উদ্দেশ্যে মানুষজনকে সমবেত করা,<br />২. কুরআন মজীদের আয়াতে করীমা তিলাওয়াত করা,<br />৩. মহানবী (ﷺ)-এর জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা,<br />৪. তাঁর বেলাদতের (ধরণীতে শুভাগমনের) সাথে সম্পর্কিত বিস্ময়কর অলৌকিক ঘটনাবলীর উল্লেখ করা, এবং<br />৫. এই উপলক্ষে মানুষকে খাবার পরিবেশন করা সেই সকল বিদআতে হাসানা (নতুন প্রবর্তিত কল্যাণকর ও সওয়াবের আমল) এর শ্রেণীভুক্ত যা মহানবী (ﷺ)-এর প্রতি আনুগত্য ও যথাযথ সম্মান প্রতিফলন করে।<br />[ইমাম জালালউদ্দীন সৈয়ুতী : তাঁর লিখিত ‘হুসনুল মাকসিদ ফী ‘আমালিল মাওলিদ কিতাবে]<br /><br />◾ ৯ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আলফে সানী (রহ) মিলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন করেছেন :<br /><br />তিনি মির্জা হুসামুদ্দিন আহমেদ এর মিলাদ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,<br /><br />نفس قرآں خواندن بصوتِ حسن و در قصائد نعت و منقبت خواندن چہ مضائقہ است؟ ممنوع تحریف و تغییر حروفِ قرآن است، والتزام رعایۃ مقامات نغمہ و تردید صوت بآں، بہ طریق الحان با تصفیق مناسب آن کہ در شعر نیز غیر مباح است. اگر بہ نہجے خوانند کہ تحریفِ کلمات قرآنی نشود. . . چہ مانع است؟-<br /><br />অর্থঃ<br />১. সুন্দর কন্ঠে কুর’আন তিলাওয়াত,<br />২. নাত শারীফ পাঠে এবং<br />৩. মানকাবাত (ওলী-আল্লাহ এর প্রশংসামূলক কবিতা) পাঠে ভুল কি?<br />৪. নিষেথাজ্ঞা কেবল তখন প্রযোজ্য হবে যদি কুর’আন শারীফের শব্দ পরিবর্তন করা হবে, কুর’আন শারীফ এমনভাবে পাঠ করা যেন মনে হচ্ছে কেউ গান শুনে তালি দিয়া হচ্ছে যার অনুমতি নেই।<br />৫. যদি মিলাদ এভাবে পাঠ করা হয় যেন কুর’আন শারীফ সঠিকভাবে পাঠ করা হয়, কাসিদা গুরুত্বের সহিত সঠিকভাবে পাঠ করা হয় তাহলে এখানে ক্ষতি কি?<br />[সূত্রঃ মাকতুবাত শারীফ (উর্দু) ভলি ০৩, চিঠি নং ৭২, পারসিয়ান দাফতার সোম, হিসসা হাশতাম]<br /><br />◾ ইমাম হাফেয আবদুর রহমান ইবনে ইসমাইল (রহঃ) (ওফাত: ৯৬৫ হিজরী)<br />[যিনি আবু শামাহ নামে সমধিক প্রসিদ্ধ] তিনি বলেন,<br />বিদআতে হাসানা বা নব প্রবর্তিত উত্তম ও কল্যাণকর প্রথাগুলোর অন্যতম হলো মীলাদুন্নবী (ﷺ) এর দিন উদযাপনের জন্যে যা যা করা হয়। যেমন :<br />১. দান-সদকাহ করা,<br />২. অন্যান্য সওয়াবদায়ক আমল পালন এবং খুশি প্রকাশ করা।<br />৩. গরিবদের প্রতি দয়াশীল হওয়ার পাশাপাশি<br />৪. এমন একটি আমল যা মহানবী (ﷺ) এর প্রতি কারো মহব্বত, প্রশংসা ও গভীর শ্রদ্ধার ইঙ্গিত বহন করে এবং<br />৫. তাঁকে নেয়ামতস্বরূপ (আমাদের মাঝে) প্রেরণের জন্যে তা আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে।<br />[ইমাম হাফেয আবদুর রহমান ইবনে ইসমাইল : আল-বা’য়েস আ’লা ইনকার আল-বেদআ’ ওয়াল হাওয়াদিস’]<br /><br />◾ ইমাম আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী (রহ) তিনি বলেন-<br /><br />مَنْ عَظَّمَ لَيْلَةَ مَوْلِدِهٖ بِمَاۤ اَمْكَنَهٗ مِنَ التَّعْظِيْمِ وَالاِكْرَامِ كَانَ مِنَ الْفَائزِيْنَ بِدَارِ السَّلامِ.<br /><br />অর্থ: “যে ব্যক্তি তার সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী (ﷺ) উদযাপন করবে, সে জান্নাতে বিরাট সফলতা লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ্!<br />[মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খন্ড]<br /><br />◾ ইমাম শাহ আবদুল আযীয মুহাদ্দীসে দেহেলভী (রহ) বলেন:<br /><br />রবিউল আউয়াল মাসের বরকত (আশীর্বাদ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বেলাদত তথা ধরণীতে শুভাগমনের কারণেই হয়েছে। এই মাসে উম্মতে মোহাম্মদী যতো বেশি দরুদ-সালাম প্রেরণ করবেন এবং গরিবদের দান-সদকাহ করবেন, ততোই তাঁরা মঙ্গল লাভ করবেন। [ফতোয়ায়ে আযীযিয়্যা, ১:১২৩]<br /><br /><br /><br /><b><i><u><span style="color: red;">কোন রাত সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ? মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত নাকি ক্বদরের রাত?</span></u></i></b><br /><br /><br /><br />◾ ইমাম সেহাবউদ্দীন কাসতলানী (রহ)  বলেন :<br /><br />”মহানবী (ﷺ)-এর বেলাদত তথা এ ধরণীতে শুভাগমন রাতে হয়েছে বলা হলে প্রশ্ন দাঁড়ায় যে দুটো রাতের মধ্যে কোনটি বেশি মর্যাদাসম্পন্ন - কদরের রাত (যা’তে কুরআন অবতীর্ণ হয়), নাকি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ধরাধামে শুভাগমনের রাত?<br /><br />হুযূর পূর নূর (ﷺ)-এর বেলাদতের রাত এ ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠতর ৩টি কারণে -<br /><br />১) নবী করীম (ﷺ) এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হন মওলিদের রাতে, অথচ কদরের রাত (পরবর্তীকালে) তাঁকে মন্ঞ্জুর করা হয়। অতএব, মহানবী (ﷺ)-এর আবির্ভাব, তাঁকে যা মন্ঞ্জুর করা হয়েছে তার চেয়েও শ্রেয়তর। তাই মওলিদের রাত অধিকতর মর্যাদাসম্পন্ন।<br /><br />২) কদরের রাত যদি ফেরেশতাদের অবতীর্ণ হবার কারণে মর্যাদাসম্পন্ন হয়, তাহলে মওলিদের রাত মহানবী (ﷺ) এ ধরণীতে প্রেরিত হবার বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফেরেশতাদের চেয়েও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, আর তাই মওলিদের রাতও শ্রেষ্ঠতর।<br /><br />৩) কদরের রাতের বদৌলতে উম্মতে মোহাম্মদীকে বিশিষ্টতা দেয়া হয়েছে; অথচ মওলিদের রাতের মাধ্যমে সকল সৃষ্টিকে ফযিলাহ দেয়া হয়েছে। কেননা, মহানবী (ﷺ)-কে সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্যে রহমত করে পাঠানো হয়েছে (আল-কুরআন ২১:১০৭)। অতএব, এই রহমত সমগ্র সৃষ্টিকুলের জন্যে সার্বিক।” 2<br /><br />তথ্যসূত্রঃ<br /><br />1.<br /><br /><br /><ul style="text-align: left;"><li><b>১. তারিখে ইবনে কাসীর : আল-বেদায়াহ ওয়ান নেহায়া’ ১৩তম খণ্ড, ১৭৪ পৃষ্ঠা</b></li><li><b>২. ইমাম ইবনে খাল্লিক্বান : তারীখে ইবনে খাল্লিক্বান-৪/১১৭-১১৯]</b></li><li><b>৩. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী : তফসীরে জালালাইন</b></li></ul><br /><br />2.<br /><br /><ul style="text-align: left;"><li><b>১.ইমাম কসতলানী (রহ) প্রণীত ‘আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া’, ১ম খণ্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা।</b></li><li><b>২.ইমাম যুরকানী মালেকী স্বরচিত ‘শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া’, ১ম খণ্ড, ২৫৫-২৫৬ পৃষ্ঠা।</b></li></ul><br /><br /></div>

প্রখ্যাত আলেমগণের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)

মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রজনীতে সংঘটিত অলৌকিক কাজ সমূহ : ◾ সৃষ্টির সেরা শুভ রজনী যে রজনীতে রত্নাগর্ভা মা আমিনা (রাঃ) ধারন করলেন রাসূলাল্লাহ (ﷺ) এর...

Read more »

হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">==হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)==<br /><br />কাফিরদের কোন ইবাদতই কাজে আসে না অথচ মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর খুশিতে আবু লাহাব তার বাদীকে আযাদ করায় পুরষ্কৃত হয়। এ সম্পর্কে সহিহ হাদিস বর্ণিত আছে।<br /><br /><b>হযরত উরওয়া ইবনে জুবায়ের (রাঃ) থেকে বর্ণিত,</b><br /><b>ﻗﺎﻝ ﻋﺮﻭﺓ ﻭﺛﻮﻳﺒﺔ ﻣﻮﻻﺓ ﻻﺑﻰ ﻟﻬﺐ ﻛﺎﻥ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﻋﺘﻘﻬﺎ ﻓﺎﺭﺿﻌﺖ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻠﻤﺎ ﻣﺎﺕﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﺭﻳﻪ ﺑﻌﺾ ﺍﻫﻠﻪ ﺑﺸﺮ ﺣﻴﺒﺔ ﻗﺎﻝ ﻟﻪ ﻣﺎﺫﺍ ﻟﻘﻴﺖ ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻟﻢ ﺍﻟﻖ ﺑﻌﺪﻛﻢ ﻏﻴﺮ ﺍﻧﻰ ﺳﻘﻴﺖ ﻓﻰ ﻫﺬﻩ ﺑﻌﺘﺎﻗﺘﻰ ﺛﻮﻳﺒﺔ ০</b><br /><b>হযরত সুহাইবাহ (রাঃ) আবু লাহাবের দাসী ছিল। আবু লাহাব ওনার কাছে থেকে [রাসুল ﷺ] এর বেলাদাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়ে কৃতদাসী সুহাইবাহ (রাঃ) কে আযাদ করে দিয়েছিল।</b><br /><b>যখন আবু লাহাব মৃত্যুবরণ করেছিল তখন (এক বছর পর) তার ঘনিষ্ঠদের কেউ [হযরত আব্বাস রা.] তাকে স্বপ্নে শোচনীয় অবস্থায় দেখে তার উদ্দেশ্যে বলেন, </b><br /><b>“তোমার অবস্থা কেমন?” </b><br /><b>- আবু লাহাব উত্তরে বলল, “তোমাদের নিকট থেকে আসার পর আমি কোন প্রকার শান্তি পাইনি, কেবল যে দিন [রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বেলাদতের খুশিতে] দাসী সুহাইবাকে আযাদ করে দিয়েছিলাম, ঐ কারনে প্রতি সোমবার আংগুল দুটির মধ্যে কিছু পানি জমে আমি ঐ পানি পান করে থাকি ঐদিন (জাহান্নামের কঠিন) আযাবকে হাল্কাবোধ করে থাকি।” 1</b><br /><b><br /></b><b>উক্ত হাদিস শরীফের আলোকে :</b><br /><b><br /></b><b>👉 ইমাম ইবনুজ জাওযী (রহঃ) বলেন-</b><br /><b>ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺍﻟﺠﺰﺭﻯ ﻓﺎﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﺑﻮﺍﻟﻬﺐ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ ﺍﻟﺬﻯ ﻧﺰﻝ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﺑﺬﻣﻪ ﺟﻮﺯﻯ ﻓﻰ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺑﻔﺮﺣﻪ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﻮﻟﺪ</b><br /><b>ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﻪ ﻓﻤﺎ ﺣﺎﻝ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﺍﻟﻤﺆﺣﺪ ﻣﻦ ﺍﻣﺘﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺍﻟﺬﻯ ﻳﺴﺮ ﺑﻤﻮﻟﺪﻩﻭﻳﺒﺬﻝﻣﺎﺗﺼﻞ ﺍﻟﻴﻪ ﻗﺪﺭﺗﻪ ﻓﻰ ﻣﺤﺒﺘﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻌﻤﺮﻯ ﺍﻧﻤﺎ ﻳﻜﻮﻥ ﺟﺰﺍﺅﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻜﺮﻳﻢ ﺍﻥ ﻳﺪﺧﻠﻪﺑﻔﻀﻠﻪ ﺍﻟﻌﻤﻴﻢ ﺟﻨﺎﺕ ﺍﻟﻨﻌﻴﻢ ০ ( ﻣﻮﺍﻫﺐ ﺍﻟﻠﺪﻧﻴﻪ ﺝ ১ ০ ﺹ২৭ ﺯﺭﻗﺎﻧﻰ ﺝ ০১ ﺹ১৩৯ )</b><br /><b>"যে কাফের আবু লাহাবের বিরোদ্ধে আল-কুরআন নাজিল হয়েছে এবং যার জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত, সে আবু লাহাবও যদি হুজুর (ﷺ) এর মিলাদুন্নবী উপলক্ষে খুশি হওয়াতে সুফল পায়, তাহলে তাঁর উম্মতের মধ্যে যে একত্ববাদী মুসলমান এবং তাঁর মিলাদুন্নবীতে (ﷺ) আনন্দিত হয় তাঁর মহব্বতে যথাসাধ্য দান করে,</b><br /><b>তার অবস্থা কী হবে? আমি কসম করে বলছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ হতে তার বিনিময় এ হবে যে, তিনি সর্বব্যাপী অনুগ্রহ দ্বারা তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন।’ 2</b><br /><b><br /></b><b>👉 বিশ্ব বরণ্য ফকিহ্ ও শারিহে বােখারী, ইমাম কাস্তাল্লানী (রহঃ) তদীয় কিতাবে বলেন :</b><br /><b>“মহান আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে রহমত দান করুক যিনি রাসূল (ﷺ) মিলাদের মােবারক রজনীকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।” </b><br /><b>[ইমাম কাস্তাল্লানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড, ১৪৮ পৃঃ]</b><br /><b><br /></b><b>👉 ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) বলেন,</b><br /><b>ﺟﻨﺎﻧﺠﻪ ﺩﺭ ﺣﺪﻳﺚ ﺍﻣﺪﻩ ﺍﺳﺖ ﻭﺩﺭﻳﻨﺠﺎ ﺳﻨﺪﺍﺳﺖ ﻣﺮﺍﻫﻞ ﻣﻮﺍﻟﻴﺪ ﺭﺍﻛﻪ ﺩﺭﺷﺐ ﻣﻴﻼﺩ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪﻭﺳﻠﻢ ﺳﺮﻭﺭ ﻛﻨﻨﺪ ﻭﺑﺬﻝ ﺍﻣﻮﺍﻝ ﻧﻤﺎﻳﻨﺪ ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻛﻪ ﻛﺎﻓﺮ ﺑﻮﺩ ﻭﻗﺮﺍﻥ ﺑﻤﺬﻣﺖ ﻭﻯ ﻧﺎﺯﻝ ﺷﺪﻩ ﺟﻮﻥﺑﺴﺮﻭﺭ ﺑﻤﻴﻼﺩ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﻭ ﺑﺬﻝ ﺷﻴﺮ ﺟﺎﺭﻳﻪ</b><br /><b>ﻭﻯ ﺑﺠﻬﺔ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﺟﺰﺍ ﺩﺍﺩﻩ ﺷﺪ ﺗﺎﺣﺎﻝ ﻣﺴﻠﻤﺎﻥ ﻛﻪ ﻣﻤﻠﻮﺳﺖ ﺑﻤﺤﺒﺖ ﻭﺳﺮﻭﺭ ﻭﺑﺬﻝ ﻣﺎﻝ ﺩﺭ ﻃﺮﻳﻖﻭﻯﺟﻪ ﺑﺎﺷﺪ ﻭﻟﻴﻜﻦ ﺑﺎﻳﺪﻛﻪ ﺍﺯ ﺑﺪﻋﺘﻬﺎ ﻛﻪ ﻋﻮﺍﻡ ﺍﺣﺪﺍﺙ ﻛﺮﺩﻩ ﺍﻧﺪﺍﺯ ﺗﻐﻨﻰ ﻭﺍﻻﺕ ﻣﺤﺮﻣﻪ ﻭ ﻣﻨﻜﺮﺍﺕ ﺧﺎﻟﻰﺑﺎﺷﺪ ০ ( ﻣﺪﺍﺭﺝ ﺍﻟﻨﺒﻮﺕ ﺝ ২ ০ ﺹ২৬ )</b><br /><b>"উক্ত ঘটনা মিলাদ শরীফ পাঠকারীদের জন্য একটি বৃহত্তম দলিল, যারা মিলাদুন্নবীর রাতে আনন্দ উৎসব ও দান খয়ারাত করে থাকেন। আবু লাহাব কাফের এবং তার বিরোদ্ধে কোরআন নাজিল হওয়া সত্বেও নবী পাক (ﷺ) জন্মের সুসংবাদে আনন্দিত হয়ে নূরবীকে দুধপান করানোর নিমিত্তে বাদী [হযরত সুয়াইবাহ (রাঃ) কে] আজাদ করে দেয়, সে কারণে তাকে পুরস্কার স্বরূপ প্রতি সোমবারে তার আজাব নিরসন করা হল। এখন যারা ঈমানদার নবীপ্রেমিক আনন্দ উৎসব ও দান খয়রাত করেন তাঁদের পুরস্কার কীরূপ হবে? অবশ্য সে মিলাদকে শরীফে গান ও হারাম বাদ্যযন্ত্র হতে পবিত্র রাখতে হবে। </b><br /><b>[ইমাম আব্দুল হক দেহলভী (রহ) : মাদারিজুন নবুয়ত ২য় খণ্ড ২৬ পৃঃ]</b><br /><br /><b>👉 বিখ্যাত ঐতিহাসিক আল্লামা ইয়াকুব (রহ) উনার কিতাবে লিখেন-</b><br /><b><br /></b><b>قال النبي صلي الله عليه و سلم رايت ابا لهب في النار يصيح العطش العطش فيسقي من الماء في نقر ابهامه فقلت بم هذا فقال بعتقي ثويبة لانها ارضعتك</b><br /><b><br /></b><b>অর্থ : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি আবু লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত অবস্থায় চিৎকার করে বলছে, পানি দাও ! পানি দাও !</b><br /><b>অতঃপর তার বৃদ্ধাঙুলীর গিরা দিয়ে পানি পান করানো হচ্ছে। আমি বললাম, কি কারনে এ পানি পাচ্ছো ? আবু লাহাব বললো, আপনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে হযরত সুয়াইবা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহা) উনাকে মুক্ত করার কারনে এই ফায়দা পাচ্ছি ! কেননা তিনি আপনাকে দুগ্ধ মুবারক পান করিয়েছেন !"</b><br /><b>[তারীখে ইয়াকুবী ১ম খন্ড ৩৬২ পৃষ্ঠা]</b><br /><b><br /></b><b>👉 ইমাম সুহাইলী (রহ) লিখেন :</b><br /><b><br /></b><b>وذكر السهيلي ان العباس قال لما مات ابو لهب رايته في منامي بعد حول في شر حال فقال ما لقيت بعد كم راحة الا ان العذاب يخفف عني في كل يوم اثنين وذلك ان النبي صلي الله عليه و سلم ولد يوم الاثنين وكانت ثويبة بشرت ابا لهب بمولده فاعتقها</b><br /><b><br /></b><b>অর্থ: হযরত ইমাম সুহাইলী (রহ) উল্লেখ করেন যে, হযরত আব্বাস (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর তাকে আমি স্বপ্নে দেখি যে, সে অত্যন্ত দুরবস্থায় রয়েছে ! সে বললো, (হে ভাই হযরত আব্বস রা.) আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আমি কোন শান্তির মুখ দেখি নাই। </b><b>তবে হ্যাঁ, প্রতি সোমবার যখন আগমন করে তখন আমার থেকে সমস্ত আযাব লাঘব করা হয়, আমি শান্তিতে থাকি। হযরত আব্বাস (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) তিনি বলেন,আবু লাহাবের এ আযাব লাঘব হয়ে শান্তিতে থাকার কারন হচ্ছে, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক (ﷺ) এর বিলাদত শরীফ এর দিন ছিলো সোমবার ! সেই সোমবারে হাবীবুল্লাহ (ﷺ) এর বিলাদতের সুসংবাদ নিয়ে আবু লাহাবের বাঁদী সুয়াইবা (রা) তিনি আবু লাহাবকে খবরটি জানালেন তখন আবু লাহাব মিলাদুন্নবীর সংবাদ শুনে খুশি হয়ে হযরত সুয়াইবা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহা) উনাকে তৎক্ষণাৎ আযাদ করে দেয় !" 3</b><br /><b><br /></b><br /> <b>[তথ্যসূত্রঃ</b><br /><b><br /></b><b>1.</b><br /><ul><li><b>১.সহিহ বুখারী : ২৬৪৪, ২৬৪৫, ২৬৪৬, ৩১০৫, ৪৭৯৬, ৫০৯৯, ৫১০০, ৫১০১, ৫১০৩, ৫১০৬, ৫১০৭, ৫১২৪, ৫১৩৩, ৫২৩৯, ৫৩৭২, ৬১৫৬</b></li><li><b>২.ইমাম আহমদ : মুসনাদে আহমদ : হাদিস ২৫৯৫৩ উক্ত শিরোনামে لو كانت تحل لي لما تزوجتها قد أرضعتني وأباها ثويبة مولاة بني هاشم فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن </b></li><li><b>পুনরায় হাদিস ২৬৮৬৫, মতন :</b></li><li><b>ابنة أخي من الرضاعة وأرضعتني وأبا سلمة  ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن</b></li><li><b>৩.ইমাম নাসাঈ : আস সুনানুল কুবরা : হাদিস ৫৩৯৪, ৫৩৯৫</b></li><li><b>৪.ইমাম নাসাঈ : আস সুনান আস-সুগরা : হাদিস ৩২৮৪, ৩২৮৫, ৩২৮৬, ৩২৮৭</b></li><li><b>৫.ইবনে মাজাহ : হাদিস ১৯৩৯ শিরোনাম</b></li><li><b> ( ابنة أخي من الرضاعة أرضعتني وأباها ثويبة فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن)</b></li><li><b>৬. মুসলিম : হাদিস ২৬৩৪, ২৬৩৫</b></li><li><b>৭. সহিহ ইবনে হিব্বান : ৪১১০, ৪১১১ হাদিসের মতন :</b></li><li><b>  إن زينب تحرم علي وإنها في حجري وأرضعتني وإياها ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن ولا عماتكن ولا خالاتكن ولا أمهاتكن</b></li><li><b>اطراف الحدیث</b></li><li><b>৮.ইমাম বায়হাকী : সুনান আল কুবরা : বিবাহ অধ্যায়</b></li><li><b>৯.জামেউল হাদিস : মাসানিদুস সাহাবা : হাদিস ৪৩৫৪৫</b></li><li><b>১০.ইমাম বাগবি : শরহুস সুন্নাহ : ৯ম খন্ড : ৭৫ পৃ</b></li><li><b>১১.ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : ৬ খন্ড, হাদিস ১৫৭২৫</b></li><li><b>১২.মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, ৭ম খন্ড, হাদিস ১৩৫৪৬</b></li><li><b>১৩.ইমাম আঈনী : উমদাতুল কারী শরহে বুখারী : ১৪ খন্ড, পৃ ৪৫</b></li><li><b>১৪.ইমাম ইবনে কাসীর : সিরাত আন নববিয়্যাহ : ১ম খন্ড , পৃ ২২৪</b></li><li><b>১৫.শরহে যুরকানী, ১ম খন্ড, ২৬১ পৃ</b></li><li><b>১৬.সুবলুল হুয়া ওয়ার রশদ : ১ম খন্ড, ৩৬৭ পৃ</b></li><li><b>১৭.ইবনে হাজর আসকালানী : ফতহুল বারী : ৭ম জিলদের ১২৫</b></li><li><b>১৮.ইবনুল কাইয়্যুম : তোহফাতুল মাওদুদ বি আহকাম আল মাওলুদ, ১৯ পৃ</b></li><li><b>১৯.ইবনে আব্দুল ওহাব, মুখতাসার সিরাতুর রাসূল, মাওলিদুন্নবী।]</b></li></ul><div><b><br /></b></div><div><b>2.</b></div><div><b><br /></b></div><div><br /><ul style="text-align: left;"><li><b>১. ইমাম কুস্তালানীঃ মাওয়াহিবে লাদুনিয়া ১ম জিল্দ, ২৭ পৃঃ।</b></li><li><b>২. ইমাম জুরকানীঃ জুরকানী ১ম জিল্দ ১৩৭ পৃঃ।</b></li></ul></div><div><br /><b>3.</b><br /><b><br /></b><br /><ul style="text-align: left;"><li><b>১. ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী : ফতহুল বারী শরহে বুখারী ৯ম খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা</b></li><li><b>২. ইমাম বদরুদ্দীন আঈনী : ওমদাতুল ক্বারী লি শরহে বুখারী ২০ খন্ড ৯৫ পৃষ্ঠা !</b></li><li><b>৩. ইমাম কাস্তালানী : মাওয়াহেবুল লাদুননিয়াহ ১ম খন্ড !</b></li><li><b>৪. শরহুয যারকানী ১ম খন্ড ২৬০ পৃষ্ঠা !</b></li></ul></div><div><b><br /></b></div></div>

হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)

==হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)== কাফিরদের কোন ইবাদতই কাজে আসে না অথচ মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর খুশিতে আবু লাহাব তার বাদীকে আযাদ করায় পুরষ্কৃত...

Read more »

আল-কুরআন ও তফসীরের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">==আল-কুরআন ও তফসীরের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)==<br /><br /><span style="color: #cc0000;"><b>মিলাদুন্নবী বিষয়ক আয়াতসমূহ এক নজরেঃ</b></span><br /><ul style="text-align: left;"><li><b>আল-ইমরান ৮১, ১৬৪</b></li><li><b>আল-আম্বিয়া ১০৭</b></li><li><b>সূরা আহযাব ৫৬ (দুরুদ পড়ার হুকুম)</b></li><li><b>আল-মায়েদা ১৫, ২০ (মূসা আ. এর মিলাদ)</b></li><li><b>সূরা তওবা ৩৩, ১২৮</b></li><li><b>সূরা সাফ ৬,৮</b></li><li><b>জুমুয়া ২</b></li><li><b>বালাদ ১-২</b></li><li><b>আল-ইব্রাহীম ৫ (মূসা আ. এর মিলাদ), ২৮ (বুখারী শরীফে শানে নুযুল), ৩৪</b></li><li><b>সূরা নাহল ৮৩</b></li><li><b>আল-ইনশিরাহ ১-৪</b></li><li><b>ক্বাফ ২</b></li><li><b>আনফাল ৩৩</b></li><li><b>আদ-দ্বোহা ১১</b></li><li><b>আল-আরাফ ১৫৭</b></li><li><b>সূরা হিজর ১৭২</b></li><li><b>সূরা ফাতহ ৮,৯, ২৮</b></li><li><b>আন-নিসা ৫৯, ১৬৪, ১৭৫</b></li></ul><div><br /></div><div>সর্বজন সমাদৃত বিখ্যাত (→) তফসীরগ্রন্থ থেকে আয়াত সমূহের ব্যাখ্যা সংযুক্ত করা হল।</div><div><div><br /></div><div><b><span style="color: red;">আয়াত ১</span></b></div><div><b><br /></b></div><div><b>আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,</b></div><div><b>اللهم ربنا انزل علينا ماءدة من السماء تكون لنا عيدا لاولنا واخرنا</b></div><div><b>অর্থ : আয় আমাদের রব আল্লাহ পাক ! আমাদের জন্য আপনি আসমান হতে (বেহেশতী) খাদ্যসহ একটি খাঞ্চা নাযিল করুন | খাঞ্চা নাযিলের উপলক্ষটি অর্থাৎ যেদিন খাঞ্চা নাজিল হবে সেদিনটি আমাদের জন্য, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ স্বরূপ হবে !"</b></div><div><b>(সূরা মায়িদা ১১৪)</b></div><div><br /></div><div>ব্যাখ্যা :</div><div><br /></div><div>উক্ত আয়াত শরীফে কি বুঝা গেল ?</div><div><br /></div><div>হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম) উনার উম্মতের জন্য আসমান থেকে একটি খাঞ্চা ভর্তি খাবার চাইলেন, এবং এই নিয়মত পূর্ন খাবার নাযিল হওয়ার দিনটা উনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ হবে বললেন | এই খাদ্য সহ খাঞ্চা নাযিল হওয়ার দিন যদি ঈদের দিন হয়, তাহলে যার উসীলায় জগৎ সৃষ্টি, যিনি সমগ্র জগৎ এর নিয়মাত, সকল নিয়মতের মূল , নি'মাতুল কুবরা হুজুর পাক (ﷺ) উনার আগমনের দিন কি আনন্দ বা ঈদ হতে পারে না? খুশি করা যাবে না ?</div><div><br /></div><div>অবশ্যই হুজুর পাক (ﷺ) উনার আগমনের দিন ইমানদারদের জন্য খুশির দিন আর শয়তানের কান্নার দিন।</div><div><br /></div><div>আল্লাহর নিয়ামতকে স্মরণ করার হুকুম :</div><div><br /></div><div><b><span style="color: red;">আয়াত ২ :</span></b></div><div><b><br /></b></div><div><b>আল্লাহ পাক বলেন, اذكروا نعمة الله عليكم</b></div><div><b>অর্থ : তোমাদের যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামতকে স্মরন করো !" (সূরা আল ইমরান ১০৩)</b></div><div><b><br /></b></div><div><b><span style="color: red;">আয়াত ৩ :</span></b></div><div><b><br /></b></div><div><b>وأما بنعمة ربك فحدت</b></div><div><b>অর্থ : আপনার রবের নিয়ামতের কথা প্রকাশ করুন। (সূরা আদ-দ্বোহা ১১)</b></div><div><b><br /></b><b>সেই নিয়ামত কে?</b><br /><b><br /></b></div><div><b>দুনিয়ায় আল্লাহর নিয়ামতের শেষ নেই কিন্তু রাসূল (ﷺ) শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। </b><b>হাদিসে আছে, </b><br /><b>হযরত মুহম্মদ (ﷺ) হলেন, আল্লাহ পাকের নিয়ামত!" (বুখারী শরীফ ১/২২১)</b></div><div><b><br /></b><b><span style="color: red;">আয়াত ৪ :</span></b><br /><b><span style="color: red;"><br /></span></b></div><div><b>وماارسلناك الا رحمة للعالمين</b><br /><b><br /></b><b>অর্থ : (হে রাসূল)! আমি আপনাকে সমস্ত জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি।</b><br /><b>(সূরা আম্বিয়া ১০৭)</b><br /><b><br /></b><b><span style="color: red;">আয়াত ৫ :</span></b><br /><b><span style="color: red;"><br /></span></b><b>قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُون</b><br /><b><br /></b><b>অর্থ : হে হাবিব! আপনি বলে দিন আল্লাহর অনুগ্রহ (ইলম) ও তার রহমত (রহমাতাল্লিল আলামিন) এর প্রাপ্তিতে তাদের মু'মিনদের খুশি উদ্যাপন করা উচিত এবং তা তাদের জমাকৃত ধন সম্পদ অপেক্ষা শ্রেয়।"(সূরা ইউনূছ ৫৮)</b><br /><br /><b><i><u><span style="color: red;">সূরা ইউনূছ ৫৮</span></u></i></b><i><u><b><span style="color: red;"> আয়াতের ব্যাখ্যায়ঃ</span></b></u></i><br /><br /><b>ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) বলেন,</b><br /><b><br /></b><b>وَأخرج أَبُو الشَّيْخ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا فِي الْآيَة قَالَ: فضل الله الْعلم وَرَحمته مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الله تَعَالَى (وَمَا أَرْسَلْنَاك إِلَّا رَحْمَة للْعَالمين) (الْأَنْبِيَاء الْآيَة ১০৭)</b><br /><b><br /></b><b>“সাহাবি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, এখানে আল্লাহর (ফল) বা অনুগ্রহ দ্বারা ইলমকে এবং (রহমত) দ্বারা নবী করিম (ﷺ) কে বুঝানাে হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন- হে হাবিব আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্ব-জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্ররেণ করেছি।</b><br /><b>(সুরা আম্বিয়া, ১০৭)।” 1</b><br /><b><br /></b><b>আওলাদে রাসূল (ﷺ) ইমাম আবু জাফর বাকের (রাঃ) বলেন, এখানে (ফদ্বল) দ্বারাও নবী পাক (ﷺ) কে উদ্দেশ্য। 2</b><br /><b><br /></b><b>ইমাম ইবনুল জাওযী নিজ ‘তাফসীর’গ্রন্থে সূরা ইউনূসের উক্ত ৫৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, “আদ্ দাহাক হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: এই আয়াতে ‘ফযল’ বলতে জ্ঞান (অর্থাৎ, আল-কুরআন ও তাওহীদ)-কে বুঝিয়েছে; আর ‘রহমত’ বলতে মহানবী (ﷺ) -কে বোঝানো হয়েছে।” </b><br /><b>[ইবনে জাওযী কৃত ‘যা’দ আল-মাসীর ফী এলম আত্ তাফসীর’, ৪:৪০]</b><br /><b><br /></b><b>ইমাম আবু হাইয়ান আন্দালুসী (রহঃ) এ সম্পর্কে বলেন, “ফযল বলতে জ্ঞানকে, আর রহমত বলতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।” [তাফসীর আল-বাহর আল-মুহীত, ৫:১৭১]</b><br /><b><br /></b><b>ইমাম জালালউদ্দীন সৈয়ুতী (রহঃ) বলেন, “আবু শায়খ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আল্লাহর ফযল বলতে জ্ঞানকে, আর রহমত বলতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ বলেন, (হে রাসূল) আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি জগতসমূহের জন্যে আমার রহমত (করুণা) করে (সূরা আম্বিয়া, ১০৭ আয়াত)।” [আস্ সৈয়ুতী প্রণীত দুররে মনসূর, ৪:৩৩০]</b><br /><b><br /></b><b>আল্লামা আলূসী ব্যাখ্যা করেন যে এমন কি ‘ফযল’ (অনুগ্রহ) বলতেও হযূর পাক (ﷺ)-কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, যেমনিভাবে বর্ণিত হয়েছে আল-খতীব ও ইবনে আসাকির থেকে যে আয়াতোক্ত ‘ফযল’ হলেন মহানবী(ﷺ) । [আলূসী রচিত রূহুল মাআনী, ১১:১৪১]</b><br /><br />1.<br />১.ইমাম সূয়ূতীঃ তাফসীরে দূররুল মানছুরঃ৪/৩৬৭প : সূরা ইউনূছ ৫৮ এর ব্যাখ্যা।<br />২.ইমাম আলূসী বাগদাদীঃ তাফসীরে রুহুল মায়ানীঃ সূরা ইউনূছ ৫৮ এর ব্যাখ্যা।<br /><br />2.<br />ক.সুয়ূতী, তাফসীরে দুররুল মানসূর, ৪/৩৬৭.<br />খ.ইমাম আলুসী, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, ১১/১৮৩পৃ.<br />গ.ইমাম তিরমিজী, মাজমাউল বায়ান, ৫/১৭৭-১৭৮পৃ.,<br />ঘ.হাইয়্যনি, তাফসীরে বাহারে মুহিত, ৫/১৭১,<br />ঙ.ইমাম জওজী, তাফসীরে যাদুল মাইসীর, ৪/৪০পৃ.<br /><br />উক্ত আয়াত আদেশ সূচকঃ<br /><br />আদেশ সূচক বাক্য দ্বারা ফরজ এবং ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়। যেমন সকল ফিক্বাহের কিতাবে আছে-<br />الامر للوجوب<br />অর্থাৎ, আদেশ সূচক বাক্য দ্বারা ফরজ ওয়াজিব সাব্যস্ত হয় ! (বাদায়েউস সানায়ে)<br /><br />দেখুন, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন-<br />اقيموا الصلوة<br /><br />অর্থ : তোমরা নামাজ আদায় করো।"<br />কুরআন শরীফের এই নির্দেশ সূচক বাক্য দ্বারা নামাজ ফরজ হয়েছে।<br /><br />তদ্রুপ সূরা ইউনূছের ৫৮ আয়াতের فليفرحوا বা খুশি প্রকাশ করো (ঈদ পালন করো) এটা আদেশ সূচক বাক্য।<br />[আশরাফ আলী থানভী : শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)]<br /><br />তাহলে এই দিকে খেয়াল করলে, এ আদেশের দ্বারা রাসুলের আগমনে কৃতজ্ঞ হয়ে আল্লাহর প্রতি খুশি প্রকাশ করা উত্তম বলে প্রমানিত হয়!</div><div><br /></div><div><b><span style="color: red;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাহাত্ম্য বর্ণনার নির্দেশ :</span></b></div><div><b><br /></b></div><div><b>إنا أرسلناك شاهدا ومبشر ونذير لتؤمنوا بالله و رسوله و تعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة وأصيلا</b></div><div><b>৪৮:৮ - নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি হাযির (উপস্থিত) নাযির (প্রত্যক্ষ সাক্ষীস্বরূপ), সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী করে;</b></div><div><b><br /></b></div><div><b>৪৮:৯ - যাতে হে লোকেরা! তোমরা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের উপর ঈমান আনো এবং রসূলের মহত্ব বর্ণনা ও (তাঁর প্রতি) সম্মান প্রদর্শন করো আর সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করো। (সূরা ফাতাহ ৮,৯)</b></div><div><b><br /></b></div><div><b><span style="color: red;">আল্লাহ পাক নবীগণের মজলিশে পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে সর্বপ্রথম মিলাদুন্নবীর [ﷺ] আলোচনা করেন (শানে নুযুল দেখতে পারেন) :</span></b></div><div><b><br /></b></div><div><b>وإذ أخذ الله ميثاق النبيين لما اتيتكم من كتاب و حكمة ثم جاءكم رسول مصدق لما معكم لتؤمنن به ولتنصرنه قال أأقررتم وأخذتم علي ذلكك إصري قالوا أقررنا قال فاشهدوا وأنا معكم من الشاهدين</b></div><div><b><br /></b></div><div><b>অর্থ: স্মরণ করুণ! যখন আল্লাহ পাক নবীগণের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, আমি আপনাদেরকে যে কিতাব ও হিকমত প্রদান করবো।  অতঃপর তশরীফ আনবেন একজন রসূল [মুহাম্মদ (ﷺ)] ! তিনি আপনাদের প্রদত্ত কিতাবগুলোর সত্যায়ন করবেন। তখন আপনারা নিশ্চই উনার প্রতি ঈমান আনবেন এবং উনাকে (পেলে) সহযোগিতা করবেন ! মহান আল্লাহ বললেন, আপনারা কি এ অঙ্গীকার স্বীকার ও গ্রহণ করলেন? উনারা বললেন, হ্যাঁ, আমরা স্বীকার করে নিলাম। তখন আল্লাহ পাক বললেন, তাহলে আপনারা সাক্ষী থাকুন এবং আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী রইলাম !" (সূরা আল ইমরান ৮১)</b></div><div><b><br /></b></div><div><b><span style="color: red;">আয়াত : সূরা ছাফ ৬ : </span></b></div><div><b><br /></b></div><div><b>আল্লাহ পাক বলেন,</b></div><div><b>قال عيسي ابن مريم يبني اسراءيا اني رسول الله اليكم مصدقا لما بين يدي من التورة و مبشرا برسول ياتي من بعدي اسمه احمد</b></div><div><b>অর্থ :হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হে বনী ইসরাঈল ! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হিসাবে প্রেরিত হয়েছি ! আমার পূর্ববর্তী তাওরাত শরীফের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদ দানকারী। যিনি আমার পরে আগমন করবেন, উনার নাম মুবারক হচ্ছে আহমদ (ﷺ) !" (সূরা ছফ ৬)</b></div><div><b><br /></b></div><div><b><span style="color: red;">ব্যাখ্যাঃ</span></b></div><div><b><br /></b></div><div><b>উক্ত আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)  নিজেই নিজের মীলদ শরীফ বর্ননা করেন,</b></div><div><b><br /></b></div><div><b>"আমি তোমাদেরকে আমার পূর্বের কিছু কথা জানাবো ! তা হলো :</b></div><div><b>- আমি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর দোয়া,</b></div><div><b>- আমি হযরত ঈসা (আঃ) তার জাতিকে দেয়া সুসংবাদ এবং</b></div><div><b>- "আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বের হয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল।"</b><br /><b><br /></b><b>[তথ্যসূত্রঃ</b><br /><b><br /></b><br /><ul style="text-align: left;"><li><b>১.ইমাম তাবারী : তফসীরে তাবারী : খ ১ : প ৫৫৬</b></li><li><b>২.ইমাম তাবারী : তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক : খ ১ : প ৪৫৮</b></li><li><b>৩.ইমাম কুরতুবী : তফসীরে কুরতুবী : খ ২ : প ১৩১</b></li><li><b>৪.ইমাম ইবনে কাসীর : তফসীরে ইবনে কাসীর : খ ৪ : প ৩৬০</b></li><li><b>৫.ইমাম আবু লাইস সমরকানী : তফসীরে সমরকানী : খ ৩ : প ৪২১</b></li><li><b>৬.ইমাম সূয়ূতী : তফসীরে দুররে মনসূর : খ ১ : প ৩৩৪</b></li><li><b>৭.ইমাম আহমদ : মুসনাদে আহমদ খ ৪ : প ১২৭ : হাদিস ১৬৭০১</b></li><li><b>৮.ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুন নবুওয়াত : খন্ড ১ : পৃ ৮৩, প ১১০</b></li><li><b>৯.ইমাম ইবনে ইসহাক : সিরাতুন নবী : খ ১ : প ২৮</b></li><li><b>১০.ইমাম ইবনে হিশাম : সিরাতুন নবী : খ ১ : প ১৫৬</b></li><li><b>১১.ইমাম ইবনে সা'দ : তাবাকাত আল কুবরা : খ ১ : প ১৫০</b></li><li><b>১২.ইমাম ইবনে হিব্বান : সহীহ ইবনে হিব্বান : খ ৯ : প ১০৬</b></li><li><b>১৩.ইমাম বাগবী : মিশকাতুল মাসাবিহ : প ৫১৩</b></li><li><b>১৪.ইমাম হাকিম : মুস্তাদরেক আল হাকিম : খন্ড ২ : পৃ ৬০০ : হাদিস ৪১৭৫</b></li><li><b>১৫.ইমাম ইবনে জাওজী : আল ওয়াফা : প ৯১</b></li><li><b>১৬.ইমাম ইবনে হাজর হায়সামী : মাজমাউল যাওয়াইদ : (৮:২২১/৪০৯)</b></li><li><b>১৭.ইমাম ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : খ ১১ : প ১৭৩</b></li><li><b>১৮.ইমাম হালাভী : সিরাতে হালাভিয়্যাহ : খ ১ : প ৭৭]</b></li></ul><br /><b><br /></b><b>এই হাদিসটি বিভিন্ন রেওয়াতে বর্ণিত আছে। </b><br /><b><br /></b><b>[সুত্রসমূহঃ</b><br /><b><br /></b><br /><ul style="text-align: left;"><li><b>১. হযরত কা'ব আল আহবার (রাঃ)</b></li><li><b>২. হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাঃ) এর মাতা শিফা বিনতে আমর ইবনে আউফ (রাঃ)</b></li><li><b>৩. হযরত ইরবাদ ইবনে সারিয়া (রাঃ)</b></li><li><b>৪. হযরত মু'য়াজ বিন জাবাল (রাঃ)</b></li><li><b>৫. হযরত আবু উমামা (রাঃ)</b></li><li><b>৬. হযরত উসমান ইবনে আবিল আস (রাঃ)</b></li><li><b>৭. হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)</b></li><li><b>৮. হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ)</b></li><li><b>৯. হযরত ইকরামা (রাঃ)]</b></li></ul><br /><b></b></div></div></div>

আল-কুরআন ও তফসীরের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)

==আল-কুরআন ও তফসীরের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)== মিলাদুন্নবী বিষয়ক আয়াতসমূহ এক নজরেঃ আল-ইমরান ৮১, ১৬৪ আল-আম্বিয়া ১০৭ সূরা আহযাব ৫৬ (দুরুদ...

Read more »