★ সালাফী আহলে হাদিস দের গুরু ইবনে তাইমিয়া বলেন,

” تجد كثيرا من هؤلاء عمدتهم في اعتقاد كونه وليا لله : أنه قد صدر عنه مكاشفة في بعض الأمور ، أو بعض التصرفات الخارقة للعادة ، مثل أن يشير إلى شخص فيموت ؛ أو يطير في الهواء إلى مكة ، أو غيرها ، أو يمشي على الماء أحيانا ؛ أو يملأ إبريقا من الهواء ؛ أو ينفق بعض الأوقات من الغيب ، أو أن يختفي أحيانا عن أعين الناس ؛ أو أن بعض الناس استغاث به وهو غائب أو ميت فرآه قد جاءه فقضى حاجته ؛ أو يخبر الناس بما سرق لهم ؛ أو بحال غائب لهم ، أو مريض ، أو نحو ذلك من الأمور .
وليس في شيء من هذه الأمور ما يدل على أن صاحبها ولي لله . بل قد اتفق أولياء الله على أن الرجل لو طار في الهواء ، أو مشى على الماء ، لم يغتر به حتى ينظر متابعته لرسول الله صلى الله عليه وسلم ، وموافقته لأمره ونهيه .
وكرامات أولياء الله تعالى أعظم من هذه الأمور ؛ وهذه الأمور الخارقة للعادة – وإن كان قد يكون صاحبها وليا لله – فقد يكون عدوا لله ؛ فإن هذه الخوارق تكون لكثير من الكفار والمشركين وأهل الكتاب والمنافقين ، وتكون لأهل البدع ، وتكون من الشياطين .
فلا يجوز أن يظن أن كل من كان له شيء من هذه الأمور أنه ولي لله ؛ بل يعتبر أولياء الله بصفاتهم وأفعالهم وأحوالهم التي دل عليها الكتاب والسنة ، ويعرفون بنور الإيمان والقرآن ، وبحقائق الإيمان الباطنة ، وشرائع الإسلام الظاهرة ” .

অর্থ: অনেককে দেখতে পাবে, তাদের নিকট কেউ ওলী বা বুজুর্গ হওয়ার মানদন্ড হল, তাদের কাছ থেকে কিছু কাশফ প্রকাশিত হওয়া। অস্বাভাবিক ও অপ্রাকৃতিক ঘটনা সংঘঠিত হওয়া। যেমন, কারও দিকে ইঙ্গিত করলে সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করা। অথবা বাতাসে উড়ে মক্কায় বা অন্য কোথাও যাওয়া । অথবা কখনও পানির উপর হাটা। বাতাস থেকে পাত্র পানি দ্বারা পূর্ণ করা। অদৃশ্য থেকে টাকা-পয়সা এনে খরচ করা। অথবা হঠাৎ মানুষের চোখ থেকে অদৃশ্য হওয়া। অথাব তার অনুপস্থিতে কিংবা তার মৃত্যুর পরে তাকে কেউ ডাক দিলে উপস্থিত হওয়া এবং ঐ ব্যক্তির প্রয়োজন পুরণ করা। মানুষের চুরি হয়ে যাওয়া জিনিসের সংবাদ বলে দেয়া। অদৃশ্য কোন বিষয়ের বর্ণনা দেয়া। অসুস্থ কারও সম্পর্কে সংবাদ দেয়া। ইত্যাদি।
এগুলোর কোনটি সংগঠিত হওয়া কখনও এটা প্রমাণ করে না যে, এ ব্যক্তি আল্লাহর ওলী। বরং সমস্ত ওলী-বুজুর্গ এ বিষয়ে একমত যে, কেউ যদি বাতাসে উড়ে, পানির উপর চলে তাহলে দেখতে হবে, সে রাসূল স. এর প্রকৃত অনুসারী কি না? শরীয়তের প্রকাশ্য বিধি-বিধান সে অনুসরণ করছে কি না? যদি এগুলো না থাকে তাহলে তার মাধ্যমে ধোকায় পড়া যাবে না। ওলীদের কারামত এসব বিষয় থেকে অনেক বড়। এধরনের অস্বাভাবিক বিষয় যার থেকে প্রকাশিত হয়, সে কখনও আল্লাহর ওলী হতে পারে, আবার আল্লাহর শত্রুও হতে পারে। কেননা এধরনে বিষয় অনেক কাফের, মুশরিক, আহলে কিতাব ও মুনাফিক থেকে প্রকাশিত হয়ে থাকে। অনেক বিদয়াতী থেকে এগুলো প্রকাশিত হয়। কখনও এগুলো শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।
সুতরাং এই ধারণা করা সমীচিন নয় যে, এধরনের কোন ঘটনা কারও থেকে প্রকাশিত হলেই সে আল্লাহর ওলী। বরং কোন ব্যক্তিকে তার গুণাবলী, কুরআন-সুন্নাহের অনুসরণের দ্বারা আল্লাহর ওলী গণ্য করা হবে। ইমানের নূর ও কুরআনের নূর দ্বারা তাদেরকে চেনা সম্ভব। এবং বাতেনী ইমানের হাকিকত দ্বারা তাদের বাস্তবতা অনুধাবন করা হয়। সেই সাথে প্রকাশ্য শরীয়তের বিধি-বিধান ওলী হওয়ার অপরিহার্য অংশ।
[মাজমুয়াতুল ফাতাওয়া, খ.১১, পৃ.২১৩]



★ ওফাতের পর নবীগণের সালাত বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। কোরআন-হাদীসে এর বিবরণ বিদ্যমান। এর দ্বারাই নবীদের মরণোত্তর জীবন প্রমাণিত হয়। (ফাতহুল বারী-১/১৩০)

★ হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যব হাররার ঘটনার দিনগুলোতে কবর হতে আযান শুনেছেন। (ইকতিয়াউস সিরাতিল মুস্তাকিম-৩৭৩)।

★ হযরত আবু হুরাইরা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত আবু দাউদ শরীফের হাদীস। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে কোন মুসলিম আমাকে সালাম করলে আল্লাহ আমাতে রুহ ফিরিয়ে দেন, আমি তার সালামের উত্তর দেই।’ এটি একটি উত্তম হাদীস। (ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ-৪/৩৬১)।

★ আবদুল্লাহ বিন মাসউদ বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন- ‘আল্লাহ তা’য়ালা পৃথিবী পরিভ্রমণকারী একদল ফেরেস্তা নিযুক্ত করেছেন, তারা আমার নিকট উম্মাতের সালাম পৌঁছে দিয়ে থাকেন।’ (সুনানু নাসায়ী-১/১৮৯)।

★ "নবীগণ কবরে জীবিত ও নামাযেরত’ এ হাদীস সম্পূর্ণ সহীহ। (মিরকাত-২/২৬১)।

★ হাদীসে প্রমাণিত যে, নবীগণ কবরে জীবিত আছেন। ইমাম বায়হাকী ও মুনযিরী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (নাইলুল আউতার-৩/২৬১)।

★ ‘নিঃসন্দেহে নবী (সা.) ওফাতের পর কবরে জীবিত আছেন। অনুরূপভাবে অন্যান্য নবী-রাসূলগণও শহীদদের চেয়েও পূর্ণ হায়াতে জীবিত। যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর পবিত্র কিতাবে সংবাদ দিয়েছেন।’ (ওয়াফাউল ওয়াফা-২/৪০৫)।

★ নবীদের কবরদেশে জীবিত থাকার প্রমাণাদী দাবি করে যে, তারা দুনিয়ার পার্থিব জীবনের মতোই দৈহিকভাবেই জীবিত। তবে তারা পানাহারের মুখাপেক্ষী নন। (প্রাগুক্ত-২/৪০৮)।

★ ‘আমি বলব, নবীদের হায়াতের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন নেই। কেননা নবীগণ শহীদগণ হতে শ্রেষ্ঠ। আর শহীদগণ তো তাদের রবের নিকট যিন্দা। সুতরাং নবীগণ তো প্রশ্নাতীতভাবেই যিন্দা থাকবেন।’ (উমদাতুল কারী-১১/৪০২)।

★ ‘শহীদগণ যেহেতু দলিলের ভিত্তিতে জীবিত প্রমাণিত, কোরআনে তার সুষ্পষ্ট বর্ণনা আছে, সুতরাং নবীগণ জীবিত থাকবেন। কারণ তারা শহীদগণ হতে উত্তম।’ (ফাতহুল বারী-৬/২৮৮)।

($) Proof ():-

মুহাদ্দিস শেখ আব্দুল হক দেহলভি(রহঃ) বলেন,একথা সকলেই বিশ্বাস করে যে আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম গন (কবরে) জিবীত ।এতে কারো কোনো অমত নেই,(কবরে) তাদের জীবন বাস্তবিক এবং শারীরিক জীবন এর মত যেমনটি পৃথিবিতে ছিল ।তারা (কবরে)শহীদগণের মত নয় (শারীরিক দিক দিয়েও জীবিত)।

Reference:-

[Ash’at al-Lam’at – Vol. 1 Pg. 574]

($) Proof:-

ইবনে হাজর আসকালানী (রহঃ) বলেন,

واحسن من هذا الجواب ان يقال ان حياته صلى الله عليه وسلم في القبر لايعقبها موت بل يستمر حيا والأنبياء احياء في قبورهم

রৌজা মোবারকে মহান রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و آله وسلم) এর ওফাত কনোদিন ও আসবে না ।তিনি জীবিত থাকবেন একারণেই যে নবীগন কবরে জীবিত থাকেন ।
Reference:-

[Sorhe Bukhari Fath al-Bari, Volume 17: Page No. 22]

($) Proof ():-

وإذا ثبت أنهم أحياء من حيث النقل فإنه يقويه من حيث النظر كون الشهداء أحياء بنص القرآن، والأنبياء أفضل من الشهداء

আল কোরআন থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, শহীদগণ কবরে জীবিত সেখানে নবীগণের মর্যাদা শহীদদের তুলনায় অনেক উর্দ্ধে।

Reference::-

1) Nayl al-Awtar 3/82)
2) Fath al-Bari>sarhe bukhari,Fath al-Bari, (6/379)]

($) Proof:-

ইমাম আল সুবকি (রহঃ) বলেন "এটা আমাদের আকিদা যে রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و آله وسلم) রৌজা পাক এ জীবিত ।".

Reference:-

[Tabqat al-Shafi’iyya al-Kubra, Volume 006: Page No. 266]

($) Proof:-

বিশিষ্ট হানাফি ইবনে আবেদিন বলেন: "আম্বিয়া (আ:) গণ কবরে জীবিত আছেন,এটা হাদিস দারা প্রমাণিত।

Reference :-

[Rasa’il of Ibn Abidin, Volume 002: Page No. 203]

($) Proof:-

ইমাম সাওকানি (যে সালাফি/ওহাবী ) বর্ণণা করেন : "রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و آله وسلم) রৌজা পাক এ জীবিত আছেন,এটা সহিহ হাদিস দারা প্রতিষ্ঠিত ।.

Reference:-[Nayl al-Awtar, Volume 005: Page No. 101]


($) Proof () :-

ইমাম আল খাফাজি(রহঃ) (যিনি সরহে আস শিফা এর বেক্ষাকার) তিনি বলেন, নবীগণ তাদের কবরে বাস্তবিক ভাবে জীবিত যেমনটি তারা এই পৃথিবীতে ছিলেন।

Reference::-

[Naseem ur Rayaadh:Vol. 1 Pg. 196]

() Proof ($):::--

ইমাম মানাভী (রহঃ) মুসা (আঃ) এর কবরে নামায পড়ার বিষয়ে বলেন,মুসা (আঃ) ওনার কবরে জীবিত এবং নামায আদায় করছেন যেমন জীবিতরা নামায পড়েন এবং এটা সম্ভব ।

Reference::--

[Faydh ul Qadeer (5/663)]

() Proof ($):::--

বিশিষ্ট ইমাম সহীহ মুসলিম এর commentator ইমাম কুরতুবী (রহঃ) লিখেন :

""নবীগণের নিকট ইবাদত বড় প্রিয়। তাই তারা নিজের আত্মিক আহবানেই ইবাদতে মশগুল থাকেন। তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব হিসাবে ফরজ/ওয়াজিব মনে করে ইবাদত করেন না।""

""হাদিস দ্বারা নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠিত নবীগণদের যে মৃত্যু দেয়া হয়েছে তার মানে হচ্ছে তাঁরা আমাদের চোখের দৃষ্টির আড়ালে কিন্তু বাস্তবিকভাবে তাঁরা জীবিত এবং উপস্হিত এবং তাদের অবস্হা এ রকম যেমন ফেরেশতারা জীবিত এবং উপস্হিত এবং মানুষের মদ্ধে কেহ তাদের দেখতে সমর্থ নয় কিন্তু আল্লাহর ওলীগণ (ছাড়া) ওনারা ওনাদের কেরামত দ্বারা তাদের অনুভব করতে পারেন ।""

Reference::--

[al-Mafhim lima Ashkala min Talkhis Kitab Sahih Muslim Volume 006, Page No. 233-4].

আমাদের ও আমাদের মাশাইখগণের মতে, হযরত রাসূল (সা.) কবরে জীবিত। তাঁর কবরের হায়াতও পার্থিব হায়াতের মতোই; কিন্তু পার্থিব জীবনের মতো মুকাল্লাফ নন। অর্থাৎ শরীয়তের আদেশ-নিষেধ তার উপর কবরে প্রয়োগ হবে না। এ ধরনের হায়াত কেবলমাত্র রাসূল (সা.) ও নবীগণের জন্য নির্ধারিত।

★ (আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ-৩৭-৩৮)।

মুসা (আ.)-এর কবরে নামায আদায়, মি’রাজ রজনীতে বাইতুল মুকাদ্দাসে রাসূল (সা.)-এর ইমামতিতে নবীগণের সালাত আদায়, জান্নাতবাসীদের তাসবীহ পাঠ ইত্যাদি দ্বারা তাঁরা পরিতৃপ্তি লাভ করেন। আনন্দের সাথে সময় অতিবাহিত করেন। এগুলোর কোনটিই তাকলীফ বা বাধ্যতামূলক করণীয় কাজের অন্তর্ভুক্ত নয় যা দ্বারা আল্লাহ বান্দাদের পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকেন।

★ (ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ-১/৩৫৪)।



ú
Top