হাদীস নং ১


হযরত ইসহাক (রঃ)...... হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে থেকে সত্তর হাজার (৭০,০০০) লোক বিনা হিসাবেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাঁরা হবে এমন লোক, যারা (ইহুদী-নাসারাদের শিরিকি) ঝাড়ফুঁকের (বা মন্ত্র-তন্ত্রের) শরণাপন্ন না হয় (1) , কুযাত্রা (বা অশুভ লক্ষণে) বিশ্বাস করে না এবং সর্বদা তাহাদের পালনকর্তা উপর ভরসা রাখে।

রেফারেন্সঃ (সহীহ্‌ বুখারী, হাদীসঃ ৬০২৮)

Note :
আল-কোরআন বা হাদিসের কোন দোয়া ঝাড়ফুক বা তাবিজ ব্যাবহারে  ক্ষতি নেই। কারন এটা সুস্থতার জন্য একটা উসীলা মাত্র যেমন ওষুধ খেলে মানুষ সুস্থ হয়।

তাবিজ - ঝাড়ফুক জায়েজ ও নাজায়েজ সম্পর্কে শরীয়তের 
বিধান :



হাদীস নং ২

হযরত ইব্‌ন আবূ মারিয়াম (র)...... হযরত সাহল বিন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, “আমার উম্মতের সত্তর লক্ষ লোক বিনা বিচারে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এরা একে অপরের সাথে এভাবে সম্পৃক্ত করবে যে, এদের সর্ব প্রথমটি যেমন জান্নাতে প্রবেশ করবে সর্বশেষ জনও তেমনি জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের প্রত্যেকের চেহারা পূর্ণিমার চন্দ্রের ন্যায় উজ্জ্বল হবে।”

রেফারেন্সঃ

১। বুখারীঃ আস্‌ সহীহ্‌, কিতাবুর রেকাক, باب يدخل الجنة سبعون ألفا بغير حساب খন্ডঃ ৫, পৃ. ২৩৯৬, হাদীসঃ ৬১৭৭
২। বুখারীঃ আস্‌ সহীহ্‌, কিতাবুল বদয়িল খলকে, باب ما جاء في صفة الجنة وأنها مخلوقة খন্ডঃ ৩, পৃ. ১১৮৬, হাদীসঃ ৩০৭৫
৩। বুখারীঃ আস্‌ সহীহ্‌, কিতাবুর রেকাক, باب صفة الجنة و النار খন্ডঃ ৫, পৃ. ১৯৮, হাদীসঃ ২১৯
৪। মুসলিমঃ আস্‌ সহীহ্‌, কিতাবুল ঈমান, باب الدليل على دخول طوائف الخ খন্ডঃ ১, পৃ. ১৯৮, হাদীসঃ ২১৯
৫। আহমদ বিন হাম্বলঃ আল-মুসনাদ, খন্ডঃ ৫, পৃ. ৩৩৫, হাদীসঃ ২২৮৩৯ 
৬। তাহের আল কাদরীঃ মাকামে মাহমুদ, পৃ. ৬৪

হাদীস নং ৩

হযরত আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে: “আমার প্রতিপালক আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার উম্মত বিনা হিসাবে কোনো শাস্তি ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর তাদের প্রত্যেক হাজারের সাথে আরও সত্তর হাজার করে। তাছাড়া আল্লাহ তায়ালা (নিজের কুদরতের দ্বারা) তাঁর মুষ্টি থেকে ৩ মুষ্টি (পরিমাণ) লোক জান্নাতে ঢেলে দিবেন।”

রেফারেন্সঃ

১। তিরমিযীঃ আস্‌ সুনান, কিতাবু সিফাতুল কিয়ামাহ্‌, باب ما جاء في الشفاعة ২/৬৬, হাদীসঃ ২৪৩৭;
২। তিরমিযীঃ আল-জামেউস্‌ সহীহ্‌, আবওয়াবু সিফাতুল কিয়ামতে ওয়ার রেকাক..., باب في الشفاعة খন্ডঃ ৪, পৃ. ৬২৬, হাদীসঃ ২৪৩৭ 
৩। বুখারীঃ আস্‌ সহীহ্‌, কিতাবুর রেকাক, باب يدخل الجنة سبعون ألف بغير... الخ ২/৯৬৮, হাদীসঃ ৬১৭৫
৪। মুসলিমঃ আস্‌ সহীহ্‌ কিতাবুল ঈমান, باب يدخل الجنة سبعون ألفا بغير حساب ১/১১৬, ১১৭, হাদীসঃ ২১৬-২২০
৫। ইবনে মাজাহঃ আবওয়াবুয যুহুদ, باب صفة أمة محمد صلى الله عليه وسلم পৃ. ৩২৬, হাদীসঃ ৪৩২৮
৬। ইবনে মাজাহঃ আস্‌ সুনান, কিতাবুয্‌ যুহুদ, باب صفة محمد খন্ডঃ ২, পৃ. ১৪৩৩, হাদীসঃ ৪২৮৬ 
৭। আহমদ বিন হাম্বলঃ আল মুসনাদ ২/৩৫২, ৩৫৯, ৪০০, ৪৫৬ 
৮। আহমদ বিন হাম্বলঃ আল মুসনাদ ৬/১৯৭
৯। আহমদ বিন হাম্বলঃ আল মুসনাদ ৪/১৬, ৪৩৬, ৪৪১
১০। আহমদ বিন হাম্বলঃ আল মুসনাদ ৫/২৫০, ২৬৮, ২৮০, ৪১৩
১১। আহমদ বিন হাম্বলঃ আল মুসনাদ, খন্ডঃ ৫, পৃ. ২৬৮, হাদীসঃ ২২৩০৩
১২। ইবনে আবী শায়বাহঃ আল-মুসান্নাফ ১১/৪৭১
১৩। ইবনে আবী শায়বাহঃ আল-মুসান্নাফ, খন্ডঃ ৬, পৃ. ৩১৫, হাদীসঃ ৩১৭১৪
১৪। বায়হাকীঃ শুয়াবুল ঈমান ১/২৫১, ২৫২, হাদীসঃ ২৬৮
১৫। ইবনে আবু আসেমঃ আস্‌ সুন্নাহ, খন্ডঃ ১, পৃ. ২৬০, হাদীসঃ ৫৮৮, ৫৮৯ 
১৬। ইবনু হিব্বানঃ আস্‌ সহীহ্‌, খন্ডঃ ১৬, হাদীসঃ ৭২৪৬
১৭। তাবারানীঃ আল-ম’জামুল কবির, খন্ডঃ ২, হাদীসঃ ১৪১৩
১৮। তাবারানীঃ আল-ম’জামুল কবির, খন্ডঃ ৪, হাদীসঃ ৩৮৮২
১৯। তাবারানীঃ আল-ম’জামুল কবির, খন্ডঃ ৮, হাদীসঃ ৭৫২০, ৭৬৬৫, ৭৬৭২
২০। আবু নয়ীমঃ হিন্দয়াতুল আউলিয়া, পৃ. ৩০২
২১। আজরীঃ আশ শরীয়াহ, পৃষ্ঠাঃ ৩৪৩
২২। ইবনে কাসীরঃ তাফসীরুল কুরআনিল আযীম ১/৩৯৪
২৩। মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/৩৬৩
২৪। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীসঃ ৫২০০ 
২৫। তাহের আল কাদরীঃ শাফায়াতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ৩৩ নং পরিচ্ছেদ— ‘নবী করীম (সঃ)-এর শাফায়াতের বিনিময়ে হিসাব ও শাস্তি ছাড়া লোকদের জান্নাতে যাওয়ার বর্ণনা’, পৃ. ৫৩

[বিঃদ্রঃ উপরোক্ত হাদীস শরীফে মহান আল্লাহ পাকের মুষ্টি (রূপক অর্থে) থেকে পরিপূর্ণ তিন মুষ্টি পরিমাণ উম্মতে মুহম্মদীর জান্নাতে প্রবেশ সম্পর্কে এটাই বুঝানো হয়েছে যে— সত্তর হাজার বিনা হিসাবী জান্নাতী উম্মতের সাথে আরো সত্তর হাজার উম্মতের জান্নাতে প্রবেশের পরও আরো এত অত্যাধিক পরিমাণ উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে যে তা ধারণার বাইরে। আল্লাহই তাদের সংখ্যা এবং সেই মুষ্টির বিশালতা সম্পর্কে অধিক অবগত।]


হাদীস নং ৪


হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলে পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন— আমাকে সত্তর হাজার এমন লোক দেয়া হবে যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবিষ্ট হবে। যাদের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল হবে, তাঁদ্র সকলের হৃদয় একজন মাত্র লোকের হৃদয়ের মত একাকার হয়ে যাবে (অর্থাৎ একক সত্তায় বিলীন হয়ে যাবে)। তখন আমি আম্র রবের নিকট আরও অধিক চাইতে থাকব। অতঃপর তিনি আমার জন্য প্রতি হাজারের সাথে সত্তর হাজার করে বাড়ানোর সুযোগ করে দিবেন (অর্থাৎ ৭০,০০০ x ৭০,০০০ = ৪,৯০০,০০০,০০০ বা এর চাইতেও বেশী)। হযরত সিদ্দীকে আকবর (রাঃ) বলেন, আমার ধারণা এ সুসংবাদ সম্ভবতঃ গ্রামীন জনগোষ্ঠীর ভাগ্যে জুটতে পারে। নগ্ন পায়ে যারা চলাফেরা করে এমন লোকদেরও তা মনে হয় হাতছাড়া হবে না।

রেফারেন্সঃ

১। আহমদ বিন হাম্বলঃ আল-মুসনাদ, খন্ডঃ ১, পৃ. ৬, হাদীসঃ ২২
২। আবু ইয়ালাঃ আল-মুসনাদ, খন্ডঃ ১, পৃ. ১০৪, হাদীসঃ ১১২
৩। ইবনে কাসীরঃ তাফসীরুল কুরআনীল আযীম, খন্ডঃ ১, পৃ. ৩৯৩
৪। তাহের আল কাদরীঃ মাকামে মাহমুদ, পৃ. ৬৮

হাদীস নং ৫

এক দীর্ঘ হাদীসে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রসূলে আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, 
............ (কিয়ামত দিবসে অন্যান্য সকল নবীগণ (আঃ) যখন মানুষকে ফিরিয়ে দিবেন এবং রসূলে পাক (সঃ০-এর শাফায়াতের জন্য তাদেরকে তাঁর কাছে যেতে বলবেন) “তখন সমস্ত লোক নবী করীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বলবে, হে মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি আল্লাহর প্রিয় রাসূল এবং সর্বশেষ নবী। আপনার উসিলায় মহান আল্লাহ উম্মতের পূর্বাপর সকল গুনাহ্‌ ক্ষমা করেছেন। এখন আপনি মহান আল্লাহর নিকট সুপারিশ করুন। আপনি কি আমাদের এ কঠিন অবস্থা অবলোকন করছেন না? তখন আমি একটু এগিয়ে যাব এবং মহান আরশের নীচে অবস্থান করব। আমার রবের নিকট সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। এ অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসার দ্বারা এতো উত্তমভাবে আমার জন্যে উন্মুক্ত হবে, যে কারও জন্যে হয়তো বা কখনো হবে না। এ অবস্থার এক পর্যায়ে আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মদ! আপনি নূরানী মস্তক উত্তোলন করুন। আপনি আবেদন করুন, আপনার প্রার্থনা মঞ্জুর হবে। আপনি সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ গৃহীত হবে। অতঃপর আমি স্বীয় মস্তক উত্তোলনের পর বলবো, হে আল্লাহ! আমার উম্মত, আমার উম্মত। তখন আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মদ! আপনার উম্মতের যে সব লোকদের জান্নাতের ডান পার্শ্বের তোরণ (দরজা) দিয়ে জান্নাতে দাখিল করুন যাদের কোন বিচারকার্য নেই।”

রেফারেন্সঃ

১। বুখারীঃ আস্‌ সহীহ্‌, কিতাবুত তাফসীর, باب ذرية من حملنا مع نوح... ألخ খন্ডঃ ৪, পৃ. ১৭৪৫-১৭৪৭, হাদীসঃ ৪৪৩৫
২। বুখারীঃ আস্‌ সহীহ্‌, কিতাবুল আম্বিয়া, باب قول الله : ولقد أرسلنا نو حا... ألخ খন্ডঃ ৩, পৃ. ১২১৫-১২১৬, হাদীসঃ ৩১৬২
৩। বুখারীঃ আস্‌ সহীহ্‌, কিতাবুল আম্বিয়া, باب قول الله : واتخذ الله إبراهيم خليلا খন্ডঃ ৩, পৃ. ১২২৬, হাদীসঃ ৩১৮২
৪। মুসলিমঃ আস্‌ সহীহ্‌ কিতাবুল ঈমান, باب أدني أهل الجنة منزلة فيها খন্ডঃ ১, পৃ. ১৮৪, হাদীসঃ ১৯৪
৫। আহমদ বিন হাম্বলঃ আল-মুসনাদ, খন্ডঃ ২, পৃ. ৪৩৫, হাদীসঃ ৯৬২৩ 
৬। তিরমীযীঃ আস্‌ সহীহ্‌ খন্ডঃ ৪, হাদীসঃ ২৪৩৪
৭। ইমাম গাজ্জালীঃ আখিরাত, পৃ. ৭৯-৮১
৮। সহীহ তাখ্রীজ তাহাভীয়া, হাদীসঃ ১৯৮
৯। যিলালুল জান্নাত, হাদীসঃ ৮১১
১০। তাহের আল কাদরীঃ মাকামে মাহমুদ, পৃ. ৬৫

হাদীস নং ৬

হযরত ইমরান ইব্‌ন মায়সারা (রঃ)...... ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, 
(এক সময়) আমার সামনে অতীতের সকল নবী ও উম্মতকে পেশ করা হল। (দেখলাম) কোন নবী কয়েকজন উম্মতকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন। কোন নবীর সঙ্গে রয়েছে দশজন উম্মত। কোন নবীর সঙ্গে পাঁচজন আবার কোন নবী একা একা যাচ্ছেন। নজর দিলাম, হঠাৎ দেখি অনেক বড় একটি দল। আমি বললাম, হে জিবরাঈল! ওরা কি আমার উম্মত? তিনি বললেন, না। তবে আপনি উর্ধ্বলোকে নজর দিন। আমি নজর দিলাম, হঠাত দেখি অনেক বড় একটি দল। ওরা আপনার উম্মত। আর তাদের সামনে রয়েছে সত্তর হাজার লোক। তাদের কোন হিসাব হবে না। হবে না তাদের কোন আযাব। আমি বললাম, তা কেন? তিনি বললেন, “তারা কোন দাগ লাগাতো না, ঝাড়ফুঁকের শরণাপন্ন হত না এবং কুযাত্রা মানত না। আর তারা কেবল প্রতিপালকের উপরই ভরসা করত। তখন উক্কাশা ইব্‌ন মিহ্‌সান নবী করীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আপনি আমার জন্য দোয়া করুন আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে আল্লাহ! তুমি একে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত কর। এরপর আরেক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আমার জন্য দোয়া করুন আল্লাহ যেন আমাকে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করেন। রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, উক্কাশা তো দোয়ার ব্যাপারে তোমার চেয়ে অগ্রগামী
হয়ে গিয়েছে।

রেফারেন্সঃ (সহীহ বুখারী, হাদীসঃ ৬০৯৮)


হাদীস নং ৭

হযরত আবদুর রহমান ইবন আবি বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: 
“নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক আমাকে আমার সত্তর হাজার উম্মতকে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।” অতঃপর ওমর রা. বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি তাঁর নিকট আরও অতিরিক্ত প্রার্থনা করেন নি? জবাবে তিনি বললেন: “আমি তাঁর নিকট আরও অতিরিক্ত প্রার্থনা করেছি, অতঃপর তিনি আমাকে প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে আরও সত্তর হাজার প্রবেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।” অতঃপর ওমর রা. বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি তাঁর নিকট আরও অতিরিক্ত প্রার্থনা করেন নি? জবাবে তিনি বললেন: “আমি তাঁর নিকট আরও অতিরিক্ত প্রার্থনা করেছি, অতঃপর তিনি আমাকে আরও অনুরূপ সংখ্যক প্রবেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।” আর (হাদীসের একজন বর্ণনাকারী ইমাম আহমদের উস্তাদ) আবদুল্লাহ ইবন বকর তাঁর সম্মুখের জায়গা প্রশস্ত করে দেখান। আর আবদুল্লাহ বললেন: আর তিনি তাঁর দুই বাহু সম্প্রসারিত করলেন। আর তা আবদুল্লাহ তার হাত দিয়ে মাটি পূর্ণ করলেন। আর হিশাম বলেন: আর এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে, যার সংখ্যা সম্পর্কে জানা যায় না।”
দলীলঃ (আহমদ ১/১৯৭)

হাদীস নং ৮

আরেকটি হাদীস যা হযরত আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার উম্মত বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” অতঃপর ইয়াযিদ ইবনুল আখনাস আস-সুলামী বললেন: আল্লাহর কসম! আপনার উম্মতের মধ্যে তারা তো মাছির পালের মধ্যে লাল-হলুদ-সাদা মাছির মত। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “আমার প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলা আমার নিকট প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সত্তর হাজারের এবং প্রত্যেক হাজারের সাথে সত্তর হাজারের; আর তিনি আমার নিকট আরও তিন অঞ্জলি বৃদ্ধির কথা বলেছেন।” তিনি বলেন: হে আল্লাহর নবী! আপনার হাউযের প্রশস্ততা কতটুকু? জবাবে তিনি বলেন: “‘আদন থেকে ‘আম্মান পর্যন্ত মধ্যকার দূরত্বের মত, আরও বেশি প্রশস্ত, আরও বেশি প্রশস্ত— বলতে বলতে তিনি তাঁর হাত দ্বারা ইঙ্গিত করেন, তিনি বলেন, তাতে স্বর্ণ ও রৌপ্যের ঝর্ণধারাসমূহ রয়েছে।” তিনি আবার জিজ্ঞাসার সুরে বললেন: হে আল্লাহর নবী! আপনার হাউয কোন ধরনের? জবাবে তিনি বললেন: দুধের চেয়ে অনেক বেশি সাদা, মধুর চেয়ে অনেক বেশি মিষ্টি এবং মেশকের চেয়ে অনেক বেশি সুগন্ধময়; যে ব্যক্তি একবার তার থেকে পান করবে, সে ব্যক্তি পরবর্তীতে আর কোনো দিন পিপাসার্ত হবে না এবং কোনো দিন তার চেহারা মলিন হবে না।”
দলীলঃ (আহমদ ২/২৫০)
 
Top