তাবেয়ী ইবনে সিরিন (রহঃ) বলেছেন,

إنَّ هذا العلم دين ؛ فانظروا عمَّن تأخذون دينكم

“নিশ্চয় এই ইলম দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং লক্ষ্য রেখো! কার নিকট থেকে তুমি তোমার দ্বীন গ্রহণ করছো”



আলবানী সাহেবের তাহকীকের প্রকৃত অবস্থা:

আলবানীর মত পরিবর্তনঃ  
একবার এক হাদিসকে সহিহ বলে পরে দুর্বল বলে আবার দুর্বলকে সহিহ বলে , আবার অনির্ভরযোগ্য রাবীকে নির্ভরযোগ্য বলে, নির্ভরযোগ্যকে অনির্ভরযোগ্য বলে।




১. উদা বিন হাসান উদা ৫০০ হাদীসের একটি সঙ্কলন বের করেছেন। এই কিতাবে যে ৫০০ হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে, এগুলো মুলত: আলবানী সাহেবের তারাজু বা পূর্বের মতামত থেকে ফিরে আসার ব্যাপারে আালোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ আলবানী সাহেব পূর্বে একটা হাদীসকে সহীহ বলেছেন, পরে মত পরিবর্তন করে সেটাকে যয়ীফ বলেছেন। এধরনের রুজু দু’একটি হাদীসে ঘটেনি। এখানে মোট পাচ শ হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে। এই কিতাবটি আলবানী সাহেব এর নিজস্ব ওযেস সাইট আলবানী ডট নেটে পাওয়া যাবে।

২. আবুল হাসান মুহাম্মাদ হাসান আশ-শাযখ্র আলবানী সাহেব এর রুজু বা পূর্বের মতামত থেকে প্রত্যাবর্তনের উপর একটি সঙ্কলন বের করেছন। এখানেও ৩০০ এর বেশি হাদীসের উপর আলোচনা করা হয়েছে। পাবেনঃ
http://www.alalbany.net

৩. আলবানী সাহেবের তারাজু নিয়ে লেখা আরেকটি কিতাব হলো, আত-তাম্বিহাতুল মালিহা আলা মা তারাজায়া আনহুল আল্লামা আল-আলবানী। এটি নিচের লিংক থেকে ডাউন লোড করুন। এ কিতাবেও আলবানী সাহেব এর সহীহ ও যয়ীফ বলার ক্ষেত্রে পূর্বের মত থেকে প্রত্যাবতর্ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং আলবানী সাহেবের রুজু করা হাদীস সঙ্কলন করা হযেছে। 
http://www.alalbany.net

৪. আলবানী সাহেব পূর্বের অবস্থান থেকে ফেরার পাশাপাশি প্রচুর স্ববিরোধীতায় লিপ্ত হযেছেন। একই রাবীকে কোথাও যয়ীফ, কোথাও সহীহ বলা, একই হাদীসকে কোথাও সহীহ এবং কোথাও সহীহ বলাকে তানাকুয বা স্ববিরোধীতা বলে। আলবানী সাহেব এতো বেশি পরিমাণ স্ববিরোধীতা করেছেন যে, এ বিষয়ে তিনি অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। একজন সুস্থ ধারার মুহাদ্দিস দু’একটি হাদীসের ক্ষেত্রে এমন করতে পারেন, কিন্তু তিনি শত শত হাদীসের ক্ষেত্রে এধরণের স্ববিরোধতিা করেছেন। শায়খ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ আলবানী সাহেবের এ ধরণের স্ববিরোধীতার উপর কিতাব লিখেছেন। কিতাবের নাম, তানাকুযাতুল আলবানিল ওয়াজিহাত। এটি তিন খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তিন খন্ডে আলবানী সাহেবের মোট ১৩০০ স্ববিারোধী বক্তব্য উল্লেখ করা হযেছে। লেখক দাবী করেছেন, আমি আলবানী সাহেবের মোট সাত হাজার স্ববিরোধী বক্তব্য পেযেছি। এই তিন খন্ডে আমি ১৩০০ বক্তব্য প্রকাশ করেছি। বাকীগুলো তিনি আস্তে আস্তে প্রকাশ করবেন।

৫. শায়খ সাইদ আল মামদুহ আলবানী সাহেব এর সহীহ ও যয়ীফ এর উপর তুলনামূলক আলোচনা করে ইলমুল হাদীসের আঙ্গিকে আট শ হাদীসের ব্যাপারে আলবানী সাহেবের ভুল ধরেছেন। অথাৎ একটা হাদীস আলবানী সাহেব এর নিকট যয়ীফ, কিন্তু সেটি বাস্তবে সহীহ আবার একটি হাদীসকে তিনি সহীহ বলেছেন, বাস্তবে সেটি যয়ীফ, এজাতীয় আট শ হাদীসের উপর আলোচনা করেছেন। তিনি এর উপর, আত-তা’রীফ বিআওহামি মান কাস সামাস সুনান ইলা সহীহ ও যয়ীফ নামে ছয় খন্ডের কিতাব লিখেছেন। প্রত্যেক খণ্ডই প্রায় ৫০০ পৃ. এর উপরে।

৬. শায়খ হাম্মাদ বিন হাসান আল-মিসরী ৩০০ শ এর বেশি রাবীর জীবনী আলোচনা করেছেন, যাদের ব্যাপারে আলবানী সাহেব বলেছেন, তাদের কোন জীবনী কোন কিতাবে পাইনি অথবা তারা অপরিচিত, অথচ তাদের জীবনী তিনি যে কিতাব দেখেছেন তাতে বিদ্যমান রয়েছে এবং তারা পরিচিত রাবী। তিনি নাম্বার সহ প্রত্যেক রাবীর নাম ও তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছেন। নিচের সাইটে তার আলোচনা গুলো পাওয়া যাবে।



এখানে সেরূপ কয়েকজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করছি যাদেরকে পূর্বের মুহাদ্দিসগণ অনির্ভরযোগ্য বলেছেন কিন্তু আলবানী সাহেব সেসবকে নির্ভরযোগ্য বলেছেনঃ


১। আহমদ ইবনে ফরজ আবু উতবা হামসীকে আলবানী সাহেব সেকা বা নির্ভরযোগ্য রূপে রূপান্তরিত করে তার বর্ণনাকৃত হাদীসকে সহীহ বলেছেন। আলবানীর কিতাব  সিলসিলায়ে আহাদীসে সহীহা খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৬।

২। ইসমাঈল ইবনে মুসলিম মক্কী। (প্রগুক্ত ১/৬১৩, ৬/৫০৫)

৩। বকর ইবনে খুনাইস। (প্রাগুক্ত ২/৬০৯)

৪। হাকাম ইবনে সেনান।  (প্রগুক্ত ৪৭)

৫। হানযালা ইবনে আব্দুল্লাহ সুদুসী (প্রাগুক্ত ১/২৪৯)

৬। সালেহ ইবনে বশীর। (প্রগুক্ত ২/২৩৯)

৭। মুসলিম ইবনে ওয়ারদান। (প্রাগুক্ত ২/৫০৩)

৮। আব্দুল্লাহ ইবনে কায়সান মরূযী (প্রাগুক্ত ১/১৩)

৯। আব্দুল মুনঈম ইবনে বশীর। (প্রগুক্ত ১/৫৮২)

১০। ইয়াহয়া ইবনে কাছীর আবু নছর। (প্রাগুক্ত ১/২৬৪)

১১। আলফজল ইবনে মুখতার। (প্রাগুক্ত ২/৫৮২)

১২। খালেদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ কমরী দামেশকী। (প্রাগুক্ত ১/১১৩)

এরা হলেন ঐসকল রাবী যাদেরকেও আলবানী সাহেব নির্ভরযোগ্য রাবী বলে হাদীসকে সহীহ বলেছেন। অথচ এসকল বর্ণনাকারী মুহাদ্দিসদের মতে এত জয়ীফ যে হাদীসে এরা থাকবে সে হাদীস জয়ীফ বলে বিবেচিত হবে।

এখন দেখা যাবে আলবানী সাহেবের এসকল নির্ভর যোগ্য সহীহ হাদীসের রাবীগণ অন্যান্য মুহাদিসের মতামতে কোন পর্যায়ের রাবী বা বর্ণনাকারী। এদের হাদীস জয়ীফ না কি সহীহ।

১। আহমদ ইবনে ফরজ আবু উতবা হিমস।

আবু মুহাম্মদ হাকেম বলেন, আবু উতবা যখন ইরাক পৌছে তখন ইরাকীগণ তার কাছ থেকে হাদীস নিয়েছেন এবং এর সম্পর্কে ভাল মত দিতেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইবনে আউফ তার ব্যাপারে সমালোচনা করতেন। এবং আমি ইবনে হাওসাকে এই রাবী সম্পর্কে অনির্ভরযোগ্য বলতে শুনেছি। মুহাম্মদ ইবনে আউফতো তাকে কাযযাব বা মিথ্যাবাদী এবং খারাপ চরিত্রের বলে দাবী করেন। আবু হাশেম আব্দুল গাফফার ইবনে সালাম বলেন, আমি আমার বন্ধুদেরকে তার ব্যাপারে মিথ্যাবাদী হিসেবে মন্তব্য করতে দেখার পর আমি তার কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করিনি। (তাহযীবুততাহযীব ১/৬৮)

খতীবে বোগদাদী তো বলেন আবু উতবা সম্পর্কে মদ পানকারী মদ্যপ ছিল।  (তারিখে বোগদাদী ৪/৩৪১)

পর্যালোচনা: যে বর্ণনাকারীকে মিথ্যাবাদী, খারাপ চরিত্র, মিথ্যুক, মদ্যপ বলে মুহাদ্দিসগণ তার কাছ তেকে হাদীস গ্রহণ করেননি। তাযে একেবারী জয়ীফ রাবী তাতে কোন সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। কিন্তু এরূপ বর্ণনাকারী থেকে হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করা, সেরূপ হাদীসকে সহীহ হাদীস বলে কিতাবে উল্লেখ করা এবং নিজের মতকে সেহাহ সিত্তা থেকেও উর্দ্ধে মনে করা তা কোন ধরনের প্রতারণা তা পাঠক মাত্রই বুঝবেন।

২। ইসলামাঈল ইবনে মুসলিম মক্কী

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্ব (রহ.) তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন, ইমাম আলী ইবনে মাদানী বলেছেন তিনি সবসময় ভুল করে থাকে, তিনি আরো বলেন উক্ত ব্যক্তি আমার কাছ থেকে একটি তিন প্রকারে বর্ণনা করেছেন।আরো বলেছেন তার কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করা যাবে না। তিনি عن حسن، عن سمرہ বলে মুনকার হাদীস বর্ণনা করে থাকেন। ইয়াহইয়া ইবনে ‍মুঈন বলেছেন তিনি কোন বস্তুই না।  জাওযজানী বলেছেন ইসমাঈল ইবনে মুসলিম কল্পনা প্রসূত হাদীস বলে, ইমাম নাসায়ী বলেছেন তিনি অস্বীকৃত, ইয়াহইয়া ইবনে মাহদী এবং ইবনে মোবারক একে ছেড়ে দিয়েছেন। (তাহযীবুল কামাল ৩/১০২)

পর্যালোচনা:


যে বর্ণনাকারীকে মুনকারুল হাদীস, ওয়াহীউল হাদীস, ভুল বর্ণনা কারী, একই বর্ণনাকে তিন বার উল্টাপাল্টা করে বলেছেন, হাদীসের ইমাম গণ যাকে পরিত্যাগ করেছেন, যার বর্ণনা লেখতে পছন্দ করতেন না এরূপ একজন বর্ণনাকারীর বর্ণনা গ্রহণ করা, তাথেকে মাসআলা ইসতিম্বাত করা এটি কোন ধরনের বড় গবেষকের কাজ হতে পারে। যে কোন চিন্তাশীল ব্যক্তি তা বিচার করবেন।

৩। বকর ইবনে খুনাইস

ইবনে সালেহ মিশরী, ইবনে খেরাশ এবং দারে কুতনী (রহ.) এই বর্ণনাকারী সম্পর্কে বলেছেন তিনি মতরূক তথা পরিত্যায্য, উমর ইবনে আলী, ইয়াকুব ইবনে শায়বা নাসায়ী উকাইলী (রহ.) বলেছেন এই বর্ণনাকারী জয়ীফ বা দূর্বল। নসায়ী বলেছেন দূর্বল। ইবনে হাতেম নিজ পিতা থেকে এই বর্ণনাকারী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন তিনি কি পরিত্যায্য। উত্তরে তিনি বললেন সে পর্যন্ত পৌছে গেছে। ইমাম আবু দাউদ বলেছেন তিনি কোন বস্তুই না। ইয়াকুবে এই বর্ণনাকারীদেরকে ওই সূচীর অন্তর্ভুক্ত করেছেন যাদের কাছ থেকে হাদীস ও বর্ণনা গ্রহণ করা হতো না। জাওযানী বলেছেন তিনি অগ্রহণযোগ্য হাদীস বর্ণনা করেন। ইবনে আদী বলেছেন ভাল লোকদের কাছে তার বর্ণনা ন্দেহযুক্ত। অনেক সময় তিনি অনুমান ভিত্তিক হাদীস বলে থাকেন। তাঁর হাদীস সমূহ জয়ীফ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। তিনি ওই লোকদের মধ্যে নন যাদের হাদীস দলীল হিসেবে বর্ণনা করা যায়।

ইবনে মদীনী বলেছেন আমি আমার পিতার কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি উক্ত রাবী সম্পর্কে বলেন তিনি জয়ীফ। বাযযার বলেছেন তিনি দূর্বল। ইবনে হিব্বান বলেন তিনি বহু মওযু বা বানানো হাদীস বর্ণনা করেছেন।

এই রূপ বর্ণনাকারীর হাদীস আলবানী সাহেব তাঁর সহীহ হাদীস সমূহে বর্ণনা করেছেন।

৪। হাকাম ইবনে সেনান

ইবনে মুঈন ও নাসায়ী বলেছেন তিনি জয়ীফ। ইমাম বুখারী বলেছেন তার কাছে অনুমান প্রসূত হাদীস বহু আছে এবং তিনি কাছীরুল ইসনাদ নন। ইবনে সাআদ বলেন হাদীসে তিনি জয়ীফ। ইমাম আবু দাউদ বলেছেন তিনি জয়ীফ। ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন, তাঁর হাদীস লেখার যোগ্য নয়। সাজী বলেছেন তাকে মিথ্যুক মনে করি।

সুতরাং এরূপ হাদীসের বর্ণনাকারীর হাদীসকি সহীহ হাদীসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। অথচ আলবানী সাহেব তার সহীহ হাদীস সমূহে এরূপ লোকের হাদীসও বর্ণনা করেছেন।


৫। হানযালা ইবনে আব্দুল্লাহ সুদুসী

ইবনে মদীনী বলেন ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ বলেছেন আমি এই বর্ণনাকারীকে দেখেছি। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ত্যাগ করেছি। মায়মুন বলেন ইমাম আহমদ (রহ.) তাকে জয়ীফ বলেছেন। আছরাম বলেছেন ইমাম আহমদ (রহ.) তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন। অভাবিত ও আশ্চর্য জনক হাদীস বর্ণনা করেন। সালেহ ইবনে আহমদ বালেছেন আমার পিতা বলেছেন তিনি জয়ীফ। ইবনে মুঈন ও নাসায়ীও তাকে জয়ীফ বলেছেন। আবু হাতেম বলেছেন লাইসা বিক্ববিয়্যিন। ইবনে হিব্বান বলেছেন হানযালা ইবনে আব্দুল্লাহ তার কুনিয়ত ছিল আবু আব্দুর রহমান। শেষ বয়সে তার গড়বড় হয়েগেছে। এমনকি জানতেন না যে রেওয়ায়াত তিনি করতেন সেখানে পুরাতন কথাগুলো গড়বড় করে একের সাথে আরেকটি মিলিয়ে বলে দিতেন। ইয়াহইয়া ইবনে কাত্তান তাকে পরিত্যাগ করেছেন। (আত্তারীফ বি আওহামী  ৬/৩৪)

পর্যালোচনা : তিনি পরিত্যাক্ত এবং জয়ীফ। নিজেই জানতেননা তিনি কি বর্ণনা করছেন। প্রথমে তিনি তা কিরূপে বর্ণনা করেছিলেন। এরূফ জয়ীফ রাবীর হাদীছও আলবানী সাহেব তার সহীহ হাদীছে বর্ণনা করেছেন।

৬। সালেহ ইবনে বশীর

মুফাজ্জল গালাবী প্রমূখ বলেন ইবনে মুঈন তাকে জয়ীফ বলেছেন। মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক ‍সাফফানী প্রমূখ বলেছেন ইবনে মুঈন বলেছেন তিনি কিছুই না। জা’ফর তায়ালাসী বলেছেন ইয়াহইয়া ইবনে মুঈন বলেছেন তিনি কিসসা কাহীনী বলতেন এবং তাঁর সকল বর্ণনা যেগুলো সাবেত থেকে বর্ণনা করেছেন সবই বাতিল। (তাহযীব ৪/৩৮৩)

হাসান ইবনে আলী আফফনকে বলেন হাম্মাদ ইবনে আন সালেহ থেকে কিছু হাদীস বর্ণিত আছে। তিনি বলেন তা মিথ্যা।  (তারীখে বাগদাদ ৯/৩০৮)

আব্দুল্লাহ ইবনে আলী মদীনী বলেন আমার পিতা তাকে বড় জয়ীফ বলেছেন। মুহাম্মদ ইবনে উসমান ইবনে আবী শায়বা বলেন আলী বলেছেন তিনি কিছুই না। জয়ীফ। উমর ইবনে আলী বলেন তিনি জয়ীফুল হাদীস।  ইমাম বুখারী (রহ.) বলেছেন তিনি মুনকারুল হাদীস। আজেরী বলেন আমি ইমাম আবু দাউদ থেকে জিজ্ঞেস করলাম তার হাদীস লেখা যাবে কি না? তিনি বলেন না।নাসায়ী বলেন তিনি জয়ীফ। তার হাদীস পরিত্যায্য। (তাহযীবুত্তহাযীব ৪/৩৮৩)

এরূপ জয়ীফ রাবীর বর্ণনাও আলবানী সাহেব সহীহ হাদীসের মধ্যে গণ্য করেছেন।


ú
Top