হযরত যায়েদ বিন হারেছা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তথা হারেছের পুত্রকে নবীজি নিজের ছেলে বলেছেন । এটা দেখে লোক সকল তাকে যায়েদ বিন মুহাম্মদ তথা নবীজির সন্তান বলতে লাগল । সাথে সাথে আল্লাহ তাআলা এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আয়াত নাযিল করেন ।

আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ ফরমান-

وَمَا جَعَلَ أَدْعِيَاءَكُمْ أَبْنَاءَكُمْ ذَٰلِكُمْ قَوْلُكُمْ بِأَفْوَاهِكُمْ

অর্থাৎ, আল্লাহ আপনার পালক পুত্রকে আপনার পুত্র বানায়নি । এটা শুধু আপনার মুখের কথা । [ সূরা আহযাব-৪]

এবং তাকেও নিষেধ করে আল্লাহ বলেন-

ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ ۚ فَإِنْ لَمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ

অর্থাৎ, তাদেরকে তাদের পিতার নামেই আহবান করো । আল্লাহর নিকট এটাই পছন্দনীয় । যদি তাদের পিতার নাম জানা না থাকে তাহলে ধর্মে তারা তোমাদের ভাই । [সূরা আহযাব-৫]

যেখানে নবীজি স্বয়ং হযরত যায়েদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে লালন পালন করেছেন, সেখানে তাঁকে পুত্র বলা হারাম করে দিয়েছেন । তাহলে যারা সৈয়্যদ না হয়েও নিজেদেরকে সৈয়্যদ দাবী করে তারা কত বড় অপরাধী তা উক্ত আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায় ।
ú
Top