ওহাবী/দেওবন্দী/পিকনিক পার্টি তাবলীগী সহ বাতিল ফির্কা গং অপপ্রচার করে ” নেদায়ে গাইরুল্লাহ” বা ইয়া নবী , ইয়া রসূল, ইয়া হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইত্যাদি বলে নাকি সম্মোধন করা যাবে না ।
আসুন আমরা তাদের মুরুব্বী দের কিতাব থেকে প্রমান করি সম্মোধন করা যাবে কিনা !!
(১) দেওবন্দী দের মহা গুরু
আশরাফ আলী থানবী তার ” নশরুত ত্বীব” কিতাবের শেষে ” শাম্মুত ত্বীব” নামক একটা কাব্য গ্রন্থ সংযোজন করেছে । সেখানে উল্লেখ আছে-
” হে মানব জাতির শাফায়াতকারী ! আপনি আমায় শাফায়াত করুন । সমস্ত বিপদ আপদে আপনি আমাদের সাহায্যকারী । “
দলীল-
√ নশরুত ত্বীব – শেষ পৃষ্ঠা ।
(২) দেওবন্দী দের গুরু রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী বলেছে-
” ওহে রসূলে কিবরিয়া ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনার কাছে আমার ফরিয়াদ ।” এ ধরনের বক্তব্য আল্লাহ পাক উনাকে অবহিত করেছেন এ ধারনার বশবর্তী হয়ে মনে মনে বা প্রকাশ্যে আন্তরিক মুহব্বতে পাঠ করা বৈধ।”
দলীল-
√ ফতোয়ায়ে রশিদীয়া ১ম খন্ড ৬৪ পৃষ্ঠা- কিতাবু খতরে ওয়াল ইবাহাত
(৩) আশরাফ আলী থানবী নিজের পীর সাহেব কে লক্ষ করে বলে-
” হে আমার পীর সাহেব! আপনার সীনা থেকে আমার সীনায় কিছু দান করুন ! “
দলীল-
√ বেহেস্তী জেওর ৯পৃষ্ঠা।
(৪) থানবী আরো লিখেছে–
” ইয়া বড় পীর সাহেব! আমাকে দয়া করুন বলে আবেদন করা জায়িয ।”
দলীল-
√ ফতোয়ায়ে আশরাফিয়া ১ম খন্ড ৬ পৃষ্ঠা ।
(৫) বাংলাদেশের অন্যতম দেওবন্দী মৃত আজিজুল হক তার বুখারী শরীফের অনুবাদে লিখেছে–
” হে দয়ার দরীয়া আল্লাহ পাক উনার হাবীব ! গোনাগার আজিজুল হকের প্রতি দয় করুন ।”
দলীল-
√ বুখারী অনুবাদ ৫ম খন্ড ১০ নং পৃষ্ঠা ।
প্রমান হলো দেওবন্দী দের মুরুব্বীরাই নেদায়ে গাইরুল্লাহ ব্যবহার করেছে।