উত্তর: পুরুষের জন্য মাথায় পাগড়ী বাঁধা আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর একটি প্রিয় সুন্নাত। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বেশীরভাগ সময় মাথা মুবারকের টুপির উপর পাগড়ী মুবারক বাঁধতেন। পাগড়ী বাঁধা ছিল প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর স্বভাবগত সুন্নাত। হাদীসে পাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম পাগড়ী বাঁধার জন্য উদ্বুদ্ধও করেছেন। তিনি বলেন-
عليكم بالعمائِمِ فَاِنَّهَا سِيَمَاءُ الملائكة
অর্থাৎ- তোমরা পাগড়ী বাঁধবে, কেননা এটা ফেরেশতাদের প্রতীক।
[বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৬২৬২] প্রিয়নবী রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম প্রায় সময়, বিশেষ করে পাঞ্জেগানা নামায, সফর, আগত মেহমান ও প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাত, যুদ্ধ এবং ভাষণ দেয়ার সময় পাগড়ী পরিধান করতেন। তবে গৃহে অবস্থানকালে ও অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার সময় পাগড়ী খুলে রাখতেন। অধিকাংশ ফকিহ্গণের দৃষ্টিতে নামাযের সময় পাগড়ী বাঁধা সুন্নাতে মুস্তাহাব্বাহ্। পাগড়ী ছাড়া নামায পড়লে নামায মাকরূহ হবে না, তবে পাগড়ী সহ নামায আদায় করলে নিঃসন্দেহে সাওয়াব বেশি হবে। যেমন-
صلوة بعمامة تعدل خمسًا وعشرين صلوة بلا عمامةِ
অর্থাৎ- পাগড়ী সহ এক নামায, পাগড়ীহীন (২৫) পঁচিশ নামাযের সমান।
জামেউস্ সগীর-এ হযরত ইমাম মুহাম্মদ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন-
جمعة بعمامة تعدلُ سبعين جمعةً بلاعمامةٍ
অর্থাৎ- পাগড়ী সহ এক জুমার নামায আদায় করা পাগড়ীহীন সত্তর (৭০) জুমার নামায আদায়ের সমান।
উল্লেখ্য যে, পাগড়ীর হাদীসকে অনেকেই সনদের সূত্রে দুর্বল বললেও জাঈফ বা দুর্বল হাদীস আমল করার ক্ষেত্রে মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। সুতরাং ফরজ, সুন্নাত ও নফল নামাযসহ প্রত্যেক নামাযে পাগড়ী পরিধান করা অত্যন্ত ফজলিত ও বরকতময় এবং অশেষ সাওয়াব।
প্রশ্ন: রুকু থেকে সাজদাতে যাওয়া ও সাজদা থেকে হাতের উপর ভর করে উঠা মাকরূহ। ইমাম সাহেব যদি সব সময় মাকরূহ সহকারে নামায আদায় করেন, তার নামায শুদ্ধ হবে কিনা? বিশদভাবে জানানোর অনুরোধ রইল।
উত্তর: ওজর বা শারীরিক দুর্বলতার কারণে রুকু হতে সাজদায় যাওয়ার সময় এবং সাজদা হতে উঠার সময় হাতের উপর ভর করা মাকরূহ নয়। তবে কোন প্রকারের ওজর বা দুর্বলতা না থাকলে হাতের উপর ভর করবে না। এটাই সুন্নাত তরিকা।